- ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে লটারির আয়োজন
- সেপ্টেম্বরে ভ্যাট আহরণ ৩০ কোটি টাকা
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আহরণ হয়েছে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। দেশের পাঁচটি কমিশনারেট স্থাপিত ইএফডি ও এসডিসির মাধ্যমে ৩২ লাখ ২৪ হাজার চালানের বিপরীতে এই ভ্যাট আহরণ করা হয়েছে। পাঁচ কমিশনারেট হলো- ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও চট্টগ্রাম।
গতকাল বুধবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ইএফডি লটারি ড্র উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান এ তথ্য জানান। এসময় এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নিরীক্ষা) ড. সহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের ইএফডি লটারিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত নম্বর হলো- 001322COINLDV374; দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বর হলো- 004222DWRFVVR825 আর তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বরগুলো হলো- 000122DMMFCUR106, 001322BBJVRQT052, 003122LLIYGA590, 000122EURIZZI150 ও 003222LBHQIZM208। লটারির ড্র এনবিআরের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিন কার্যদিবস পর পত্রিকায় ফল প্রকাশ করা হবে।
ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে জানিয়ে মইনুল খান বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে ইনভয়েসিং ও রাজস্ব আদায়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। পাঁচটি কমিশনারেট ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সাত হাজার ৮৩২টি ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করেছে।
ভ্যাটে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে মন্তব্যে করে মইনুল খান বলেন, যখন তিন লাখ মেশিন বসানো হবে, তখন দীর্ঘমেয়াদে আরও সফলতা আসবে। এজন্য সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন। রাজস্ব আহরন ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে মইনুল খান বলেন, ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত ইএফডি ও এসডিসি মেশিন দিয়ে কেন রাজস্ব সংগ্রহ হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটকে কমিটি গঠন করে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও বলেন, হয়তো মেশিনগুলোতে কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে। প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে এনবিআরকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট ৭ হাজার ৮৩২টি ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ২১তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসের চালানের ওপর ভিত্তি করে লটারির ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত মাসে ইএফডি যন্ত্র ব্যবহার করে যারা কেনাকাটা করেছেন তাদের কেনাকাটার চালানপত্র কুপন হিসেবে লটারিতে ব্যবহার করা হয়। ইএফডি চালানের লটারিতে প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেতাদের ভ্যাট দিতে উৎসাহিত করার জন্য এই লটারির আয়োজন করা হয়। প্রতি মাসের ৫ তারিখ বা ৫ তারিখ সরকারি ছুটির দিনে সম্ভব না হলে পরের কর্মদিবসে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।