চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান। সোমবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মেয়ে এষা খানের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই সাংবাদিক।
এর আগে বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তোয়াব খানের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে দশটায় দৈনিক বাংলার কার্যালয়ে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ মিনারে তোয়াব খানের মরদেহে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে জড়ো হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তোয়াব খানের মরদেহ শহীদ মিনারে পৌঁছালে প্রথমেই তাকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহিদুল ইসলাম।
পরে তোয়াব খানের মরদেহবাহী কফিনে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সহকারী সামরিক সচিব জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহকারী সামরিক সচিব জি এম রাজিব আহমদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।
এছাড়া শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিক জোট, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন বরেণ্য সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। শহীদ মিনারে তোয়াব খানের পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে তানিয়া খান, ভাই বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, ভাগ্নে সাংবাদিক সেলিম খানসহ পরিবারের সদস্যরা।
বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থতার পর তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আনন্দবাজার/কআ