দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল আরো একটি বছর। ঘড়ির কাঁটা ১২ পেরোলেই ২০১৯ বিদায় নিয়ে চলে আসবে নতুন একটি বছর। বিদায়ী বছরে হয়ত অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়নি। অনেক কিছুই হয়ত চলে গেছে বিপরীতে। এসব পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না কষে আসুন জেনে নেই কীভাবে নতুন বছরে নতুন করে সাজাবেন নিজেকে।
১। পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে গড়মিল হলেই দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় কাটাই। এসব দুশ্চিন্তা প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হতে হতে একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সাধারণ দুশ্চিন্তা হয়ে উঠে অস্বাভাবিক মানসিক সমস্যার কারণ। তাই নতুন বছর শুরু করুন দুশ্চিন্তা না করার সংকল্প দিয়ে। দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলতে পারলে কমে যাবে উদ্বিগ্নতা জনিত মানসিক এবং শারীরিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি।
২। যদি অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব, আত্ম-অহঙ্কার এবং সন্দেহ বাতিকতা থাকে তবে এটাই সঠিক সময় এসব থেকে বেরিয়ে আসার। বছরের শুরু থেকেই চেষ্টা করুন সেগুলো থেকে বের হয়ে আসার। এক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হলে হতে পারেন মনোবিদের শরনাপন্ন।
৩। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব, বদ-মেজাজ, চিন্তা-ভাবনার সীমাবন্ধতা থেকে বের হয়ে আসতে করতে পারেন বই পড়ার অভ্যাস। বেশি বেশি বই পড়লে বিস্তৃত হয় চিন্তার জগৎ।
৪। নিজের কাজেই অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকার ফলে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না? নতুন বছরে আপনার প্রায়োরিটি হোক আপনার পরিবার। বাসায় ফেরার পর অফিস কিংবা অন্য কোন কাজ রাখা থেকে বিরত থাকুন। সব কাজ বাদ দিয়ে পরিবারকে দিন নির্ভেজাল সময়।
৫। সফল হতে বছরের শুরু থেকেই সব কাজে পরিমিতিবোধ বজায় রাখুন। আত্মবিশ্বাস নিয়ে করুন আপনার প্রতিটি কাজ। কেন করছেন, কী করছেন, কাজের প্রভাব কেমন এসব ভেবে যেকোন কাজ করুন।
৬। নিজের সুবিধা আদায় করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করা যাবে না। তাই নতুন বছরের শুরু হোক অন্যের দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়ার অভ্যাস গড়ার মধ্যে দিয়ে।
৭। নতুন বছরে পেছনের সব গ্লানি ফেলে দিয়ে একেবারে নতুন করে শুরু করুন সবকিছু। যেকোন পরিকল্পনা করুন নতুন উদ্যমে। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান সাফল্যের দিকে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস