অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কলেজ শিক্ষক
প্রভাষক সোহেল রানা বিসিএস অফিসার হলেও তার সামাজিকীকরণে সমস্যা আছে: অধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়
নওগাঁর বদলগাছীতে পরীক্ষার্থীদের কাছে ফি নেয়া সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে মামলার হুমকি দিয়েছেন সোহেল রানা নামে এক প্রভাষক। গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সোহেল রানা বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক এবং ২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথমবর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণ কমিটির সদস্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন তাদের কাছ থেকে ফরম বিতরণ ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণের জন্য জোর করে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া বাইরের কোনো দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিয়ে গেলে টাকা ছাড়া সিল দেওয়া হচ্ছে না।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজে তথ্য সংগ্রহ করতে যান দৈনিক উত্তরা প্রতিদিনের বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি রানা হামিদ। তিনি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কাছে বক্তব্য নিতে যান। রানা হামিদ বিষয়টি অধ্যক্ষের কাছে উপস্থাপন করার সময় রুমে প্রবেশ করেন প্রভাষক সোহেল রানা। এসময় তিনি রানা হামিদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রভাষক সোহেল রানা হুমকি দিয়ে জানান, কোনো নিউজ প্রকাশ হলে মামলা করবেন।
এ বিষয়ে উত্তরা প্রতিদিনের বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি রানা হামিদ বলেন, ডিগ্রি প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ করেন যে তাদের কাছ থেকে অযাচিত টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এর যথাযথ প্রমাণ পাই এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করি।
‘পরবর্তীতে অধ্যক্ষের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার রুমে গেলে সেখানে উপস্থিত হন প্রভাষক সোহেল রানা। তিনি মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আমার ওপর উত্তেজিত হয়ে বলেন, ছয় বছর ধরে আমি এই কলেজে আছি। এখানে কোনো দুর্নীতি নেই। যদি কোনো নিউজ হয় তবে মামলা করা হবে।’
জানতে চেয়ে কমিটির সদস্য প্রভাষক সোহেল রানার সাথে কথা বলার জন্য বিভিন্ন নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন করলে ফোন ব্যস্ত দেখায়। পরবর্তীতে তার সাথে দেখা করার জন্য কলেজে গেলেও সোহেল রানাকে পাওয়া যায়নি।
সোহেল রানার এমন আচরণ ঠিক ছিল না বলে জানান বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সরওয়ারে জাহান। তিনি বলেন, ‘প্রভাষক সোহেল রানা বিসিএস অফিসার হলেও তার সামাজিকীকরণে সমস্যা আছে। কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথেও ঝামেলা করেছেন। আমার রুমে বসে আমার উপস্থিতিতে সাংবাদিকের সাথে যেভাবে কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রভাষক সোহেল রানার সাথে কথা বলবো।’