বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালী এলাকার একমাত্র মিঠাপানির উৎস্য তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরে বিষ দিয়ে পানি দূষিত করার প্রতিবাদে মানবপ্রাচীর করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে পুকুরের চারপাশ ঘিরে তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘষিয়াখালী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। বেশকিছুদিন ধরে পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী না থাকায় শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে।
লবনপানি অধুষ্যিত বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালী, শনিরজোড়, ঢালিপাড়া, ডেনাতলা, উত্তর ফুলহাতা, কালিকাবাড়ী, জিয়ালবাড়িসহ ১০টি গ্রামের মানুষ ওই পুকুরের পানি পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়া পুকুরের আশপাশের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর রাতে দূর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ ধরে নেয়। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের পানি পান ও ব্যবহারের অনোপযোগী হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ওই এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে মিঠা পানির ব্যবহার থেকে।
এদিকে ঘটনায় দুইদিন পরে তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল আহসান মোরেলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করলেও বিষ প্রয়োগকারীদের সম্পর্কে কোন তথ্য পায়নি পুলিশ।
নাবিলা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু আমরা পান করি না, আশপাশের অনেক লোক এই পুকুরের পানি ব্যবহার করে। আমাদের এলাকার চারপাশের নদী ও খালে লবনপানি। লবন পানি ব্যবহারের ফলে আমাদের নানা ধরণের রোগ-ব্যাধি হচ্ছে।
তোরাব মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোলায়মান হাওলাদার বলেন, পুকুরের পানি নষ্ট হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খুবই বিপাকে পড়েছে। তদন্তপূর্বক পুকুরে বিষ প্রয়োগকারীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে পুকুরের পানি পানের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার আহবান জানান এই শিক্ষক।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী করতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আসাকরি দুই এক দিনের মধ্যে পুকুরে পানি পরিস্কার ও ব্যবহার উপযোগী করতে পারবে বলে আশ্বাস দেন উপজেলার শীর্ষ এই কর্মকর্তা।