ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাতালের চালে জীবিকা

চাতালের চালে জীবিকা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিভিন্ন চাতালে চাল প্রস্তুত কাজে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শতাধিক পরিবার। নিম্নআয়ের শ্রমজীবি মানুষগুলো দিনরাত চাতালে ধান শুকানো ও শেদ্ধ করা থেকে শুরু করে চাল প্রস্তুত করা পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন।

উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২৫টির অধিক চাতালসহ রাইস মিল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রম দিচ্ছেন। এর মধ্যে প্রায় ধানের অর্ধশতাধিক বেপারী আছেন। বেপারীরা সপরিপারেই বসবাস করছেন চাতালগুলোতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা জাতের ধান সংগ্রহ করে এ অঞ্চলের চাতালে আনছেন। এসব ধান চাতালে রেখে চাল প্রস্তুত করে বিক্রি করছেন পাইকারী দরে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হাঁসাড়া, ষোলঘর, আটপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চাতালগুলোতে শ্রমিকরা ধান সেদ্ধ ও শুকানোর কাজকর্ম করছেন। এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। দৈনিক মজুরী হিসেবে একজন শ্রমিক পাচ্ছেন ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। বেশীরভাগ শ্রমিকই চাতালের নিজস্ব ঘরে বসবাস করছেন।

হাঁসাড়া এলাকার আব্দুল মজিদ রাইস মিলের মিস্ত্রী ফরিপুর এলাকার মো. শাহিন বলেন, এখানে ৪টি বেপারী পরিবারসহ ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তারা এখানেই থাকেন। নারী শ্রমিক আকলিমা বলেন, সারাদিন ধান সেদ্ধ ও শুকানোর কাজ করেন। তার স্বামীও এ কাজ করছেন। রহমান বেপারী বলেন, তার বাড়ি দিনাজপুরে। ১৬ বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে বসবাস করছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকের ধান সংগ্রহ করে আনছেন তিনি। চাল প্রস্তুত করে পাইকারী বাজারে বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে শতাধিক মণ ধানের চাল প্রস্তুতের অপেক্ষায় আছে।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন হাঁসাড়া এলাকায় হাসান রাইস মিলের পরিচালক জিল্লু বেপারী বলেন, এখানে নারী ও পুরুষ মিলে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এসব শ্রমিকের মজুরী ধানের বেপারীরা প্রদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাতাল মালিকরা শুধু মেশিনে ধান ভাঙ্গানোর খরচ নিয়ে থাকেন। প্রতিমণ ধান ভাঙ্গানো বাবদ প্রায় ১শ’ টাকা করে চাতাল মালিককে প্রদান করা হচ্ছে। এ কাজে একজন শ্রমিকের মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা মজুরী পাচ্ছেন। এ অঞ্চলের চাতালগুলোতে হাইব্রিড ২৮, ২৯ জাতের ধানের চাল প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন