ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি হাঁস অস্বাভাবিক কালো ডিম পেড়েছে। সে কালো ডিম নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আবদুল মন্নান রাঢ়ী বাড়ীর মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরপর দুইদিনে এ অস্বাভাবিক দুইটি কালো ডিম দেয়।
তাসলিমা বেগম জানান, তার পালিত ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি হাঁস এ প্রথম ডিম দেয়। ডিমের রং একেবারে কালো দেখে প্রথমে ভয় পেলেও পরে ডিমটি বাড়ির অন্যদের দেখালে মুহুর্তের মধ্যে কালো ডিমের সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মানুষ সে বাড়িতে ভিড় জমায় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় জামাল মোল্লা জানান, আমার ৪৫ বছর বয়সে এমন ডিম দেখিনি এমনকি দেশি হাঁসে কালো ডিম দেয় এমন কথাও শুনিনি কখনো।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, জানামতে হাঁস এধরনের কালো ডিম পেড়েছে এ প্রথম। জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয় কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগী কালো ডিম পারে। যার মাংসও কালো। হাঁসে কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোন সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘন্টা থাকে। তিনি এই কালো ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেছেন। আগামী দিনগুলোতেও যদি এই হাঁস কালো ডিম পাড়ে তাহলে হাঁস ও ডিম পরীক্ষাগারে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।