ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেহাল রাস্তায় ভোগান্তি

বেহাল রাস্তায় ভোগান্তি

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বোলাবো হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বেলাব এলাকার হাজারো মানুষ। রাস্তাটি বেহাল অবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানোর পরও দুর্ভোগের কোনো ব্যবস্থাই গ্রহন করেছে না তারা। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তালতলা-বরপা প্রধান সড়ক সংলগ্ন বেলাব চৌরাস্তা থেকে বেলাব জামে মসজিদ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বেলাব এলাকার বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা এটি।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। এখন বেশির ভাগ স্থানেই ইট ভেঙ্গে মাটি সওে গিয়ে রাস্তাটির বিভিন্ন ¯’ানে খানা-খান্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে হাটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।

সরেজমিন দেখা গেছে, এই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ইট বালু উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় আবার রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাটি ভেঙে খালে পড়ে গেছে ফলে প্রতিদিনই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীরা ছোটখাটো দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি ডুবে কাঁদার সৃষ্টি হয়ে পায়ে হেটে চলাচল করা দুসাধ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে এ রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

অটোচালক মোশারফের বাড়ি বেলাব। অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, তবে, আমাদের রাস্তা ঠিক হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটোরিশার কোনো কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

স্থানীয় মাহবুব, ওসমান, ওমর মিয়া জানান, প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়েছিল এরপর থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা হয়নি। দুঃখের বিষয় গত তিন বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের ইট সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এমনকি রিকশাওয়ালারাও আসতে চায় না এ রাস্তা দিয়ে।

এ বিষয়ে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমি বিভিন্ন ভাবে এ রাস্তাটির বেহাল দশার অবস্থা দেখেছি। এই মুর্হুতে কোনো বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কবে নাগাদ ঠিক করা হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের মাথায় আছে এবারের নতুন বাজেটে কিছু একটা করার চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসার আরজু-জুল হক বলেন, আমাদের উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট রয়েছে ফলে গুরুত্ব¡পূর্ণ রাস্তাগুলো আগে সংস্কার বা মেরামত করা হচ্ছে। আর এগুলো সংস্কার করেই আমাদের বাজেট শেষ হয়ে যায়। তবে, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন