রাস্তা সংস্কারের নামে ঠিকাদারের গাফলতির কারণে হোসেনপুর স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে তিন শতাধিক পরিক্ষার্থী। পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্রে যেতে ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরে স্থানীয় লোক ও শিক্ষার্থীরা রাস্তা সংস্কার করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায় পরিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের এসএসসি পরিক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে সকালে হোসেনপুর স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন প্রায় ৩৭১জন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভারকরা। তবে, বিপত্তি ঘটে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে। তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হোসেনপুর রাস্তার কাছ করছিলেন একজন ঠিকাদার। পরীক্ষা উপলক্ষে ঠিকাদারকে বলা হয়েছিল পরিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে সে জন্য রাস্তাটিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। তবে, ঠিকাদার দুই দিন বৃষ্টির কারণে রাস্তার কাজ যত্রতত্র ফেলে রাখে।
এদিকে, রাস্তা কাজ করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ করে ফেলে রাখে ঠিকাদার সেখানে হাঁটু পরিমান বৃষ্টির পানি জমে চলাচলে অনুপযোগি পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে যখন পরীক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে কেন্দ্রে যেতে শুরু করে তখন যানবাহন চলতে না পেরে যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এ দিকে পরীক্ষার সময়ও গনিয়ে আসার কারণে স্থানীয় ও পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় রাস্তায় বস্তা ফেলে রাস্তাটি কোনো রকম যান চলাচলর জন্য উম্মুক্ত করা হয়। তারা আরও জানায়, রাস্তাটি যানচলাচলের জন্য অনুপযোগী ও যানজটের কারণে অনেকে কেন্দ্রে যেতে বিলম্ব হয়।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছিল। পরীক্ষা উপলক্ষে আমরা ঠিকাদারকে বলেছিলাম যানচলাচলের রাস্তার কিছু অংশে মাটি ও ইট ফেলে সংস্কার করতে। তবে, ঠিকাদারের গাফলতির কারণে সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সহকারী কর্মকর্তা কাজল জানান, পরীক্ষা উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন মিটিংয়ে রাস্তাটি পরীক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য কিছুটা সংস্কার করতে বলেছিলাম। তবে, ঠিকাদার গাফলতি করার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।