পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ একটি ফটোগ্রাফি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। সম্প্রতি ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। দেশের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপনাটির দূর্দান্ত একটি ল্যান্ডস্কেপ তুলে ইতোমধ্যে একটি “গ্যালাক্সি ট্যাব এ” জিতে নিয়েছেন অপুর্ব জুনাইদ। শীঘ্রই ক্যাম্পেইন সেরা ছবি ও প্রথম স্থান অধিকারীর নাম সহ বাকি সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে স্যামসাং।
২৭ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত চালু থাকা স্যামসাংয়ের এ ক্যাম্পেইনটি ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্যামসাং ভক্তরা পদ্মা সেতু দেখতে এসে বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক এ সেতুটির ছবি তোলেন। জমা পড়া ছবিগুলো যাচাই-বাছাই শেষে বর্তমানে বিচারকমন্ডলীরা বিজয়ীদের নির্বাচিত করছেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জনকারীর হাতে একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আলট্রা, এবং ২য় থেকে ১০ম স্থান অধিকারীদের প্রত্যেককে একটি করে স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এ তুলে দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অপুর্ব জুনাইদ গ্যালাক্সি ট্যাবটি জিতে নেন।
উল্লেখ্য যে, অপুর্ব জুনাইদ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি’র সন্তান। ছেলের পুরস্কার প্রাপ্তিতে তার মা ও বাবা দু’জনেই বেশ উচ্ছ্বসিত। সন্তানের এ সাফল্য সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছেন। নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে অপুর্ব জুনাইদের মা, মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা লিখেছেন- চধফসধ নৎরফমব ফরমরঃধষ ঢ়যড়ঃড় পড়হঃবংঃ এর আয়োজন করেছিল ঝধসংঁহম। আমার বড় ছেলে তার ঝধসংঁহম মোবাইলে তোলা পদ্মা সেতুর ছবি শেয়ার করেছিল। তার তোলা ছবিটি সিলেক্ট হয়েছে এবং সে পুরস্কার পেয়েছে। অপুর্ব বাবাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছি। দোয়া করবেন সে যেন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।” পরবর্তীতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তার প্রোফাইলে স্ত্রীর স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেন এবং ক্যাপশনে লিখেন – “দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।”
এ প্রসঙ্গে স্যামসাং মোবাইলের হেড অব মোবাইল মো মূয়ীদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের যেকোনো অর্জন ও স্মরণীয় সাফল্যের উদযাপনে স্যামসাং সবসময়ই দেশের মানুষের পাশে রয়েছে। পদ্মা সেতু কোটি বাঙালির স্বপ্নের বাস্তবায়নের প্রতীক, শত প্রতিকূলতার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে যা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্যকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমরা ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম, এবং প্রতিযোগিতায় ভক্তদের বিপুল সাড়া দেখে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত হয়েছি। বিজয়ীদের প্রতি আমার অভিনন্দন রইল”।