- কর্মব্যস্ততার ফাঁকে বিনোদনের আশায় ছুটছে মানুষ
প্রকৃতির নিয়মে শাপলা ও পদ্ম ফুটে তৈরি হয়েছে এক মনোরম পরিবেশ। নেত্রকোণার সদর উপজেলার কে-গাতি ইউনিয়নের নায়রাপাড়া, রাজাপুর ও গাবরাগাতি গ্রামের মাঝে ৫০ একর জায়গাজুড়ে ঘোড়াদিঘী বিলে অসিম সৌন্দর্য নিয়ে ফুটে আছে অসংখ্য শাপলা। অন্যদিকে একশ একর জায়গাজুড়ে চল্লিশা ও কাইলাটি ইউনিয়নের শ্রীধরপুর, নুরপুর, বামনমুখ ও কাইলাটি গ্রামের গবিনচাতুল বিলে দেখা মিলে অগনিত পদ্মের।
প্রকৃতির মনোরম লীলাভূমি নেত্রকোণায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা ও পদ্মবিলে ভিড় করে জেলা ও জেলার বাইরের অসংখ্য ভ্রমণপিপাসুরা। মনের আনন্দে নানা বয়সী মানুষের দেখা মেলে নৌকা ভ্রমণে, সেলফি ও ফুল তুলতে। ফুটন্ত শাপলা ও পদ্মের মনোরম দৃশ্য দেখে ভুলে যায় নিজেদের কর্মব্যস্ততা।
পড়ার বই বা ছবিতে দেখা শাপলা ও পদ্ম, বাস্তবে ছুঁয়ে দেখার আনন্দ এনে দেয় শিশুদের মাঝে। প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে আনন্দবিরাজ করে এলাকাবাসীর মনেও।
প্রকৃতির অপরিসীম সৌন্দর্যের শাপলা ও পদ্মবিলে নৌকাভ্রমণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে মানুষের অসন্তোষ চোখে পড়ে। কেউ কেউ অভিযোগ করে ফুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে বিল থেকে ফুল ছিঁড়ে নেয়া নিয়েও। এইসব বিষয় নিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঘুরতে আসা অনেকেই। তবে প্রতিদিন ঘুরতে আসা মানুষের কাছ থেকে পরিমিত ভাড়া ও কাউকে কাউকে তারা বিনাপয়সায় বিল ঘুরিয়ে দেখান বলে দাবি নৌকা মাঝিদের।
প্রসাশনের সুদৃষ্টি থাকলে প্রকৃতির লীলাভূমি নেত্রকোণায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা আগামীদিনে আরও বেগবান হবে বলে মনে করে নেত্রকোণা জেলাবাসী।