ব্যবসা বাণিজ্যে হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা
বেশ কয়েকবার চার্জ বাড়াতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বেসরকারি আইসিডিগুলো (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো)। এবার বেশ শক্ত পোক্ত হয়েই মাঠে নেমেছেন তারা। তাই, ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকেই ২২ শতাংশ বর্ধিত চার্জ বাড়াবে আইসিডি মালিকরা। এরই মধ্যে চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি আইসিডি ব্যবহারকারীদের অবগত করা হয়েছে।
কিন্তু ব্যবহারকারীরা এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। ব্যবহারকারীরা জানান, মন্ত্রণালয় ও আমদানি-রফতানিকারকদের ফাঁকি দিয়ে একতরফাভাবে চার্জ বৃদ্ধি করছেন আইসিডি মালিকরা। বেসরকারি আইসিডি নীতিমালা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। এতে আমদানি-রফতানি ব্যয় আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। আর এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়বে।
আইসিডি মালিকরা জানান, চার্জ বাড়ানোর দায়িত্বে থাকা ট্যারিফ কমিটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। তাই চার্জ বাড়াতে এখন আর আইনগত কোনো বাধা নেই। চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে ১৯টি প্রাইভেট আইসিডি রয়েছে, যা বন্দর ইয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর দিয়ে রফতানি হওয়া পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই হ্যান্ডলিং হয় প্রাইভেট আইসিডিগুলোর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে ৮৩ হাজার কোটি টাকা গায়েব
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের এপ্রিল ও আগস্টে ২০-২৫ শতাংশ চার্জ বাড়িয়ে তা কার্যকরের চেষ্টা চালান আইসিডি মালিকরা। সর্বশেষ গত অক্টোবরে ১০ শতাংশ চার্জ বাড়ানো হয়। তবে ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মুখে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রতিবারই চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়। ফলে তিন দফা চেষ্টার পরও চার্জ বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ জানান, ‘আইসিডির পরিচালন ব্যয় কিছু বাড়তে পারে। কিন্তু এক লাফে ২২ শতাংশ চার্জ বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই চার্জ যদি ব্যবহারকারীরা বহন করতে না পারেন তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা দেখা দেবে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই যৌক্তিক হারে চার্জ বাড়াতে হবে। একতরফা চার্জ বৃদ্ধি ব্যবসা-বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। ’
আনন্দবাজার/ইউএসএস