ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের ল্যাপটপ অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর 

শিক্ষকদের ল্যাপটপ অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিএসএইচই) সহযোগিতায় ডিজিটাল পার্সোনাল লোন চালুর মাধ্যমে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ কেনা সহজ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঢাকায় ডিএসএইচই অফিসে এ বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শিক্ষকদের জন্য এ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

স্বাধীন ফিনটেক সলিউশনস লিমিটেড-এর ‘স্বাধীন’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকরা ডিজিটাল উপায়ে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এন্ড-টু-এন্ড প্রক্রিয়ায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদনটি মূল্যায়ন করা হবে এবং ঋণ বিতরণ করা হবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে, শিক্ষকরা কোনো ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণটি ৬/৯/১২/১৫ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া, বিশেষ ছাড়ে ল্যাপটপ সরবরাহ করবে ওয়ালটন ডিজি-টেক।

সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে, শিক্ষকরা এখন শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এই উদ্যোগটি ব্যাংকিং খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্ভাবনী সেবার একটি অনন্য উদাহরণ। এই উদ্যোগটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অবদান রাখবে।

প্রথম পর্যায়ে, সাভার ও গাজীপুর এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসএইচই-এর পরিচালকবৃন্দ, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, স্বাধীন ফিনটেক সলিউশনস লিমিটেড-এর চেয়ারপারসন মোহাম্মদ শাদমান, ব্র্যাক ব্যাংক-এর হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মোঃ মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব রিটেইল লেন্ডিং মো. মনিরুল ইসলাম রনি, হেড অব ডিজিটাল লোন আন্ডাররাইটিং এস এম ইশতিয়াক ও হেড অব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস মুনতাসির রহমান।

শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ অর্থায়ন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমরা মনে করি, এই উদ্যোগটি আমাদের মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিং নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি সমাজ উপকৃত হবে। আন্ত:সংযোগের এই যুগে, শিক্ষকদের ইন্টার্যাক্টিভ ক্লাসের জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল ও লেকচারের মতো ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। এই লোনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, শিক্ষকদের সুবিধার জন্য লোনের প্রক্রিয়াকরণ এবং লোন প্রদানসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে ডিজিটালি। এ উদ্যোগটি চালু করার ক্ষেত্রে, সহায়তা এবং দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা লোনটির বিস্তৃতি আরও বাড়িয়ে সারা দেশে এ সহজ ঋণ সুবিধা ছড়িয়ে দিতে চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন