ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে বছরে প্রায় ১৬শ রেল যাতায়াত করছে। প্রতি রেলে এই যাতায়াতে লাভ থাকছে গড়ে ১৩ লাখ টাকার মতো। তা ছাড়া এতদিন বাংলাদেশের ইঞ্জিন ব্যবহার হলেও ভারত দিতে যাচ্ছে এসব সরঞ্জাম। তাতে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে। কেননা বাংলাদেশের ইঞ্জিন ও লোকোবলের সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের প্রস্তাব গ্রহণ করলে ব্যবসায়ে ভালো সুযোগ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার দৈনিক আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগায়োগের ফলে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে। কেননা আগে আমাদের অনেক ইঞ্জিন বসে থাকতো এখন সেগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছে। প্রতিমাসে ১২০ থেকে ১৫০টি রেল যাতায়াত করে থাকে পশ্চিম জোনে। বছরে গড়ে পনেরশ হতে ষোলশ রেলের যাতায়াত আছে।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রতিরেলে গড়ে ১৩ লাখ টাকা আয় হয়। তা ছাড়া এখন ভারত প্রস্তাব দিয়েছে যে, আমরা যেন তাদের ইঞ্জিন ব্যবহার করি। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে উভয়েই লাভ হবে। ইঞ্জিনগুলো কাজে লাগবে। তাতে ইঞ্জিন ভালো থাকবে। ব্যবসাও হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পূবাঞ্চলে মালবাহী রেল ভারতে যায় না। এখন থেকে সপ্তাহে দুই-তিনটি যাত্রিবাহী রেল যাতায়াত করে থাকে। অনেক সময় পুরো গাড়িই যাত্রিতে ভরপুর থাকে। আবার অনেক সময় বহু আসন ফাঁকাও থাকে। মালবাহী রেলের পুরো সেক্টরটি পশ্চিমাঞ্চলে। প্রতিটি রেলে আয়-ব্যয় কত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঠিক এভাবে বলতে পারছি না।
আনন্দবাজার/শহক