- ব্যয়ের সমন্বিত হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করা রেলগাড়ির বছরে আয় কত হয় সে হিসাব সংরক্ষণ করা আছে। তবে বছরে ব্যয় হচ্ছে কত সেটির কোনো সমন্বিত হিসাব নেই। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে আহ্বান করেছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করা মালবাহী ও যাত্রিবাহী রেলগুলোতে বছরে কত টাকা আয় হয় সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাবলিক রিলেশন ডিরেক্টর মো. নাহিদ হাসান খান দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমাদের মালবাহী রেলে আয় হয়েছে ৮২৩ কোটি টাকা এবং যাত্রিবাহীতে ৩৭২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মালবাহিতে ছিল ৫২৬ ও যাত্রিবাহীতে ৩৬৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালবাহিতে ৭৭০ ও যাত্রিবাহীতে ২৫৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মালবাহিতে ১০৩৫ ও যাত্রিবাহীতে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মালবাহিতে ১০০৪ ও যাত্রিবাহীতে ৩১২ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মালবাহিতে ৭৮৪ ও যাত্রিবাহীতে ২৮৩ কোটি টাকা আয় হয়।
এসব রেল দুটি দেশে চলাচল করতে বছরে ব্যয় হয় কত টাকা সে হিসেব সমন্বিতভাবে সংরক্ষিত নেই রেলওয়েতে। প্রতিষ্ঠানটি বিচ্ছিন্নভাবে বা আলাদা আলাদা করে হিসেব সংরক্ষণ করে থাকে। এ বিষয়ে রেলের ব্যয় হয় বছরে কত হয়েছে এমন প্রতিবেদন চেয়েছে জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের জয়েন ডিরেক্টর জেনারেল ফকির মো. মহিউদ্দীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের রেলওয়েতে এখন পর্যন্ত ব্যয়ের সমন্বিত হিসেব নেই। রেলের তেল, গ্যাস বা অন্যান্যখাতে কত টাকা বছরে ব্যয় হয় এমন হিসেব থাকলেও বছরে মোট কত টাকা ব্যয় হয় সেটি আগে ছিল না। এখন সেসব সমন্বয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা এসেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। অচিরেই হয়তো প্রতিবেদন দেয়া যাবে। ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের কারণে বছরে কত টাকা ব্যয় হয় এমন হিসেবও একসঙ্গে নেই। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
আনন্দবাজার/শহক