ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় অত্যাধুনিক রেল

পদ্মায় অত্যাধুনিক রেল
  • চলছে নির্মাণযজ্ঞ আগামী জুনে চালু
  • ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলার লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত গতিতে চলছে সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন প্রকল্পর কাজ। আগামী বছরের জুনের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে চলাচল করবে ট্রেন। শেষের পথে রয়েছে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাকের উপর ব্লাস্টলেস ট্রাক বসানোর কাজ। ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে রেললাইন বসানোর কাজ। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে মাওয়া, ভাঙ্গা জংশন ও মাদারীপুরের শিবচরে ২টি রেল স্টেশন নির্মাণ কাজ।

পরীক্ষা নিরীক্ষা রেলের কাজের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর নিচ তলা। শিগগিরই শুরু হবে সেতুতে রেল স্লিপার ঢালাইয়ের কাজ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৬.৬২ কিলোমিটার ভায়াডাকের উপর বসে গেছে রেল স্লিপার। ভাঙ্গা প্রান্তে দৃশ্যমান হয়েছে পাথরের উপর স্থাপন করা মূল রেলপথের ৩.৪৫ কিলোমিটার। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৫১.১৬ শতাংশ হলেও মাওয়া ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮২.৩ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার অংশে এখন চলছে রেল পথ, রেলস্টেশন ও জংশন নির্মাণ কাজ।

যাত্রীদের সুবিধার্থে মাওয়া, পদ্মা ও শিবচর নামে ৩টি স্টেশনের পাশাপাশি ভাঙ্গায় নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক রেলওয়ে জংশন। মাওয়া স্টেশনের ৮০ শতাংশ, পদ্মা স্টেশনের ৭২ শতাংশ ও শিবচর স্টেশনের ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভাঙ্গা জংশনের কাজ এগিয়েছে ২০.৩৩ শতাংশ। পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে রেল সেবা চালু হলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণের মানুষ।

মাওয়া ভাঙ্গা রেল লিংক প্রকল্প সহকারী রেল ট্রাক ইঞ্জিনিয়র শওকত আলী জানান, দেশের অত্যাধুনিক রেলপথ হবে এ পথ। যেখানে ১২০ কিলোমিটার বেগে চলার প্রস্তুতি রয়েছে।

মাওয়া-ভাঙ্গা রেল লিংক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদ আহমেদ জানান, এই রেললাইনে অধিক দ্রুত গতির ও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রেন চলবে ।

প্রসঙ্গত, তিন হাজার ৯শ কোটি টাকা ব্যায়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬২ কিলোমিটার রেলপথ

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন