ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানির দামে স্বস্তি-অস্বস্তি

  • বিশ্ববাজারে কমলে আবারও সমন্বয়
  • কঠোর নজরদারি না থাকলে বাড়বে অস্বস্তি

জ্বালানি তেলের দাম কমায় কমবে মূল্যস্ফীতি। সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরবে স্বস্তি। কমবে পরিবহন ভাড়া। এমনটিই আশা করছেন অনেকে। তাদের মতে এ জন্য প্রয়োজন হবে কঠোর মনিটরিংয়ের।

ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলে লিটারপ্রতি ৫ টাকা করে দাম কমিয়েছে সরকার। গত সোমবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হয়। রাত ১২টার পর এই দাম কার্যকর হয়। ফলে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ১১৪ টাকা থেকে কমে ১০৯ টাকা, কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা থেকে ১০৯ টাকা, অকটেনের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকা হলো। এর আগে গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। যে কারণে দেশেও দাম বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।
যার প্রভাবে সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে এখন দাম কমায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা করে কমিয়েছি। এর আগে গত রবিবার ডিজেলের আগাম কর অব্যাহতি ও আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। কিছুটা কর কমানোয় জ্বালানি তেলের মূল্যে সমন্বয় করা হলো। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে আবারও সমন্বয় করা হবে। আমরা সবদিক বিবেচনা করে দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, তেলের দাম ৫ টাকার কমানোর ফলে পণ্যের দাম বা পরিবহন ভাড়া কমবে কিনা, তার ওপর নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের সুবিধা। যদি সরকার এই দাম কমানোর পাশাপাশি এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে পারে, তাহলে লাভ হতে পারে। না হলে এই টাকা ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে যাবে।

পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, আমরাও জানতে পেরেছি সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা করে কমিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সাধারণ মানুষের কথা সরকার বিবেচনা করেছে, এটা অনেক বড় বিষয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন