দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশের। দিন দিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাত্র ১.৫ শতাংশ ভাগ করে। আর দেশটির পর্যটনশিল্পে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অবদানরাখা তথা ২৩তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত বাণিজ্যের পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
এ বিষয়ে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদকে দৈনিক আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানির ব্যাপারে দুটি লিখিত প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল।
প্রথমটি ‘ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের প্রতিবন্ধকতা কী কী?’ এই প্রশ্নের জবাবে আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারতে রপ্তানি সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- ১. আমাদের সীমিত রপ্তানি বাস্কেট। আমাদের আরও পণ্য দরকার যা ভারতে রপ্তানি বাজার খুঁজে পেতে পারে। ২. দ্বিতীয় সমস্যা হলো- রপ্তানিকারকরা রপ্তানি গন্তব্য হিসাবে উন্নত দেশগুলির দিকে তাকিয়ে থাকে। তবে নতুন বিশ্বব্যবস্থা, আঞ্চলিক বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি লাভবান। রপ্তানিকারকদের আরও বেশি ভারত সফর করতে হবে এবং সেখানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করতে আন্তরিক হতে হবে। ৩. সময় এবং খরচ বাঁচাতে রেল, জলপথে রপ্তানি করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন ‘এসব সমস্যা সমাধানে সরকারিভাবে কী ধরনের কার্যক্রম প্রয়োজন?” এর জবাবে আবদুল মাতলুব আহমাদ লেখেন ১. সরকারকে বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শনের জন্য আরও রপ্তানিমেলা এবং অন্যান্য রোড শো করতে হবে। ২. বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডাকে অবশ্যই ভারতের বিভিন্ন স্থানে অনেক রোড শো করতে হবে, অর্থাৎ বিডার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে। সবশেষে, দিল্লি এবং ভারতের অন্যান্য অংশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রাসহ অর্থনৈতিক কূটনীতি করতে হবে।
আনন্দবাজার/শহক