ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরণব্যধিতে আক্রান্ত রোগীর নামে জীবন বীমা

মরণব্যধিতে আক্রান্ত রোগীর নামে জীবন বীমা

নওগাঁর পত্নীতলায় মরণব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী বা মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও  জীবন বীমা করানোর অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রীয় একমাত্র প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন পত্নীতলা শাখার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরণের বীমা হয়ে থাকে ১. জীবন বীমা ২. সাধারণ বীমা। জীবন বীমায় একজন ব্যক্তি নিজের বা পরিবারের কোনো সদস্যের জীবন বীমা করাতে পারেন। এতে বীমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর বীমার নিয়ম অনুযায়ী মৃত পরিবারকে অথবা নমিনিকে বীমা সম্পূর্ণ হবার পর প্রাপ্য টাকার পুরোটাই দেওয়া হয়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে  জীবন বীমা কপোরেশন পত্নীতলা শাখার ফিল্ড অফিসার মোছা. নূরজাহান বেগম ( নূপুর ) এর সঙ্গে লিয়াজু মেন্টেন করে ১২ নং কলামের গ্রাহকের তথ্যাবলির ৭ ও ৮ নং লাইনের বিধি নিষেধকে কে উপেক্ষা করে পত্নীতলা উপজেলার তকিপুর গ্রামের মো: আলমগীর হোসেন এর স্ত্রী মোছা: শাহনাজ বেগম এর নামে জীবন বীমা করিয়েছেন।

পত্নীতলার নজিপুর বাসস্টেন্ডে ”মনে রেখো বোরখা হাউজ” এর মালিক মো: আল আরাফাত (আরিফ)। তার অসুস্থ মা মোছা: শাহনাজ বেগমের নামে চলতি বছরের ২৭ মার্চ জীবন বীমা কর্পোরেশনে মোটা অংকের জীবন বীমা করান নিজে নমিনি হয়ে। জীবন বীমা করার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই দীর্ঘদিন যাবৎ দুটি কিডনি নষ্ট, ব্রেন স্টোক ও ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগে আক্তান্ত শাহনাজ বেগমের মৃত্যু হয়।

শাহনাজ বেগমের মৃত্যুর পর থেকেই ছেলে আল আরাফাত( আরিফ), মায়ের নামে করা জীবন বীমার টাকা উঠানোর জন্য নিয়মিত বীমা অফিসে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়।

শাহনাজ বেগমের আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, তিনি ( শাহনাজ বেগম ) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বছর দশেক আগে ব্রেন স্টোক করেছিলো, দুই বছর আগে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয় এবং কিছুদিন আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে।

শাহনাজ বেগমের ছেলের স্ত্রী জানান, আমার শ্বাশুড়ি ২০১১ সালে ব্রেন স্টোক করে, দুই বছর আগে দুটি কিডনি ড্যামেজ হয়েছে। কিছুদিন আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে।

শাহনাজ বেগমের মৃত্যুর পূর্বে ছেলে মো: আল আরাফাত ( আরিফ ) বলেন, আমি না বুঝে আম্মার নামে জীবন বীমা করেছি। পরবর্তীতে যখন জানতে পারি আমার বীমাটি বৈধভাবে হয়নি তখনি আমি বীমা চালাবো না বলে অফিসে লিখিত দিয়েছি।

জীবন বীমা কর্পোরেশনের ফিল্ড অফিসার মোছা: নূরজাহান বেগম নূপুর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শাহনাজ পারভীন যে মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত এবিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কীভাবে জীবন বীমা করিয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন রেখে দেন।

এ বিষয়ে জীবন বীমা কর্পোরেশন নজিপুর শাখার ব্যবস্থাপক ( ডি.এম ) ইব্রাহিম হোসন মাসুম বলেন, শাহনাজ বেগম মারা গেছে বিষয়টি আমরা অবগত আছি। তার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এমনকি ব্রেন স্টোক করার কাগজ পর্যন্ত হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে এ বিষয়টির উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন