ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেরা বিমানবন্দর হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর : প্রতিমন্ত্রী

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মিত হলে এটিই হবে এই অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। শুক্রবার তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার টার্মিনালটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’র উদ্বোধনও করবেন তিনি। এছাড়া বিমানের নতুন একটি মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অ্যাপস থেকে টিকিট কাটলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে টার্মিনাল বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিকমানের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু ক্ষেত্রে আমরা সফলতাও অর্জন করেছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেমন আকাশে শান্তির নীড় তেমনি আমাদের নতুন টার্মিনালও হবে ভূমিতে শান্তির পরশ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। তাই উন্নয়নের এ ধারা থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়নে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং নামের তিনটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামকে (এডিসি) কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক প্রচেষ্টা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহ ও দিকনির্দেশনায় সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে দুই কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া এ টার্মিনালকে এমন ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে টার্মিনালের প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যায়।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন