তরমুজ একটি রসালো ফল। পানিতে টইটম্ভুর ও ভারি একটি ফল তরমুজ। খেতেও সুস্বাদু। তরমুজের নাম মধুবালা উপরটা দেখতে হলুদ ভেতরটা ও হলুদ। এছাড়াও রয়েছে পাকিজা তরমুজ। তরমুজ উৎপাদনে যে সমস্ত অঞ্চল সুনাম কুড়িয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ উপজেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী।
রাঙ্গাবালীর রাঙ্গা তরমুজে কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক। একটু জমি ও যেন খালি পড়ে না থাকে। সে জন্য বিনা মৌসুমে তরমুজ চাষে সাফাল্য পেয়েছেন কৃষকরা। সমতল ভূমি থেকে খানিকটা উপরে মাচা তৈরি করে চাষ করা হয় অন্যমৌসুমের ফসল তরমুজ। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ খুবই কষ্টকর। তবে মাচা পদ্ধতির এ চাষ সহনশীল।
এতে সার ও কীটনাশক, মৌসুমী ফসলের চেয়ে প্রয়োগ অনেক কম হয়। বিশেষ করে মধুবালা ও পাকিজা তরমুজ দিন দিন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তরমুজ চাষের পাশাপাশি মাছ চাষসহ আম, লেবু, মাল্টা, আমড়া, ত্বীন, বড়ই, ড্রাগন ফলের চাষ করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে তরমুজের জন্য বিখ্যাত রাঙ্গাবালী উপজেলা। চলতি বছর মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ৩ হেক্টর জমিতে। মাচা পদ্ধতি তরমুজ চাষে সাফল্যের পথে কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজ চাষে বেশি ঝুঁকছে কৃষকরা।
ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের কৃষক মো.আবু তালেব বলেন, আমি প্রথম এক একর জমিতে একটি মিশ্র ফলের বাগান করি । আমার মিশ্র ফলের বাগানে আম, জামরুল, লিচু, বড়ই, আমড়া, মাল্টা, লেবু, ড্রাগন চাষ করছি। পরে সেখানে তরমুজ চাষ করি। তরমুজের ফলন ও ভালো হয়েছে। আশা করি এখানে ভালো টাকা আয় হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবল হোসেন বলেন, তরমুজের জন্য বিখ্যাত রাঙ্গাবালী উপজেলা। চলতি বছর মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে উপজেলার ছোট
ইাশদিয়া, বড়বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ৩ হেক্টর জমিতে। মাচা পদ্ধতি তরমুজ চাষে সাফল্যের পথে কৃষকরা। গতবারের চেয়ে চলতি বছর তরমুজ চাষে বেশি ঝুঁকছে কৃষকরা। আগামিতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হবে বলে আশা করি। আমরা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।