মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে লাউচাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন যুবক আরাফাত রহমান শিমুল। তরুণ এ উদ্যোক্তার ক্ষেতজুড়ে অসংখ্য লাউয়ের সমারোহ। উৎপাদিত লাউ বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের কাছে। পাইকারি দরে মাঝারি সাইজের প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। লাউ বিক্রি করে প্রায় লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন শিমুল।
উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামের পাকা সড়ক সংলগ্ন একটি উঁচু জমিতে শিমুল আগাম লাউ চাষ করছেন। লাউয়ের পাশাপাশি বেগুন, ধুন্দলসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। এছাড়া ওই এলাকার জুরাসার, মুসলিমপাড়া, পাঁচলদিয়া ও বনগাঁও গ্রামের বেশকিছু উঁচু জমিতে নানা ধরনের আগাম শাক-সবজির চাষ করছেন স্থানীয়রা। শাক-সবজি চাষে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে লাউয়ের মাচা দেওয়া হয়েছে। নেটের মাচার নিচে ডগায় ডগায় ঝুলে আছে অসংখ্য লাউ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব লাউয়ের ভারে মাচা মাটির দিকে নুয়ে পড়ছে। লক্ষ্য করা যায় সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে শিমুল। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদা বেশী থাকায় সবজি বিক্রেতারা বাগানে এসে লাউ নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে খুচরা বিক্রেতারা প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। ৭০ শতাংশ জমিতে লাউ, বেগুনসহ অন্যান্য শাক-সবজির চাষ করছেন। লাউ বিক্রিতে কাঙ্খিত লাভ হলেও পোকার আক্রমণে বেগুন চাষে সুবিধা করতে পারছেন না। স্থানীয় কৃষি অফিসের লোকজন তার সবজির বাগনটি দেখে পরামর্শ দিয়ে গেছেন।
কুকুটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জুলহাস উদ্দিন জানান, শিমুলের সবজি বাগান আমি ঘুরে দেখেছি। বাগানে আগাম লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেগুনের রোগ বালাই ও পোকা মাকরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে এসেছি। বাগানটি দেখতে খুব শীঘ্রই যাবো।