রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যর দামের অস্থিরতা যেন থামতেই চাচ্ছেনা। কিছুদিন পর পর একটা না একটা পণ্যর দাম বাড়ছেই। যেমন এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে বাড়ল মসুর ডালের দাম, এরপর বাড়ল চালের, এরপর ভোজ্যতেল, আর পেঁয়াজ নিয়ে তো কোনকিছু বলারই প্রয়োজন নেই। এখন তাদেরই লেজ ধরে বেড়েছে চিনির দামও।
মূলত কর বাড়ানোর অজুহাতে চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ী মহল। বাজেটের পর খুচরা বাজারে চিনির দাম ১৫ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে বেড়েছে ৮ টাকা।
খুচরা বাজারের পাশাপাশি বেড়েছে পাইকারিতেও। বাজেটের পর পাইকারিতে গত কয়েক মাসে চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে চিনির দাম আরও বাড়বে।
রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। এক মাস আগেও এক কেজি চিনির দাম ছিল ৫৮ টাকা। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আগে জুনে চিনির কেজি ছিল ৫০ টাকা। বাজেটের পর জুলাই মাসে তা বেড়ে ৫২ টাকা হয়। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাজেটের পর চিনির দাম ধীরগতিতে বাড়লেও এখন লাফিয়ে বাড়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, পাইকারিতে চিনির দাম অনেক বেড়েছে। যে কারণে আমাদেরকে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিছুদিন আগেও যে চিনি ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ৬৫ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আগে অপরিশোধিত চিনির ওপর প্রতি টনে স্পেসিফিক ডিউটি (নির্ধারিত কর) ছিল ২ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে তা ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রতি টনে কর বেড়েছে ১ হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনিতে স্পেসিফিক ডিউটি ৪ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ কর বেড়েছে দেড় হাজার টাকা।
মিল মালিকদের দাবি, বাজেটে এই কর বাড়ানোর কারণেই চিনির দাম বেড়েছে। এ ব্যাপারে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, প্রতি কেজি চিনির ওপর ১২ টাকা কর বাড়ানো হয়েছে। এ কারণেই চিনির দাম বেড়েছে। এছাড়া বিশ্ববাজারেও চিনির দাম বাড়তি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস