শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রোটিনে ডিমের লাগাম

প্রোটিনে ডিমের লাগাম

সবুজ রাজধানীর ধানমন্ডির ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি মুদি দোকানে চাকরি করেন। প্রতিদিন দোকানটিতে ডিম বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ খাচি (এক খাচি ৩০টি)। তবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুটা পর্যন্ত এক খাচি ডিমও বিক্রি করতে পারেননি। কেন এমন হলো-জানতে চাইলে সবুজ জানান, মানুষ ডিম কেন যেন কিনছে না। প্রতিদিন এ সময়ে ৩-৪ খাচি ডিম বিক্রি হয়ে যায়। অথচ আজ ক্রেতাই পাচ্ছি না। সবুজের দোকানের ডিমের হালি (৪টি) ৫৫ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ৬ বছর ধরে ডিমের ব্যবসা করছেন মোহাম্মাদ হোসাইন। তার বেচাকেনাও একই রকম। বললেন, তরি-তরকারি সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষ আগে ডিমকে গরীবের গোশত মনে করতো। এখন সেই ডিমের দামও নাগালের বাইরে। এক ডজন (১২টি) ডিমের পাইকারি দাম ১৫০-১৬৫ টাকা। ক্রেতারা খালি দাম শুনেই চলে যায়। বেচাবিক্রি একদম কমে গেছে।

মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারের ব্যয় সামলাতে কাটছাঁট করতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে। শুধু পরিবার নয় মেস করে যারা বিভিন্নস্থানে থাকেন তাদেরও প্রধানতম খাবার ডিম। অল্প সময়ে এটি খাওয়ার উপযোগী করা যেমন সম্ভব, তেমনি কম টাকায় প্র্রোটিনের অভাবও পূরণ হয়। তবে এখন ডিমের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মধ্যবিত্তের প্রোটিন প্রধান উৎসও এখন হাতছাড়া।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। যা অল্প দামে মুরগির মাংস ও ডিম থেকে পাওয়া যায়। তবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রোটিন গ্রহণের ওপরে বড় প্রভাব পড়ছে। সাংসারিক টানাপোড়েনে থাকা পরিবারগুলো ব্যয় সামলাতে সবার আগে প্রোটিনজাত খাবার কেনাই কমিয়ে দেন।

ইব্রাহিম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আগে যে পরিমাণ ডিম কিনতেন তা থেকে প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ, ডিমের গরমে পকেট পুড়ছে। তেলের আগুন এত দ্রুত ডিমে চলে আসবে বুঝতে পারিনি।

আহমেদ রাজু একজন প্রবীণ সাংবাদিক। তিনি ডিম খাওয়া বাদই দিয়েছেন বলা যায়। তিনি বলেন, আমার আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই পোল্ট্রি খামারের ব্যবসায় জড়িত। তাদের কাছে জানলাম তারা এক হালি ডিম বিক্রি করছেন ৩০-৩৫ টাকায়। এখন সেটি মফস্বলের বাজারে এসে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর রাজধানীতে সেই ডিমের হালিই ৬৫-৭০ টাকা। আমার এত টাকা নেই। তাই আপাতত ডিম কেনা বাদ দিয়েছি।

রাজধানীতে চাকরি করেন জাকির হোসেন। তিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আপাতত সাতদিন ডিম ও মুরগি খাবেন না। এটি পর্যাক্রমে বাড়াবে। হঠাৎ এই চিন্তা কেন মাথায়-জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন, দেখুন সবকিছুর দাম বাড়ছে। ডিমের দাম বাড়বে এটাও স্বাভাবিক। তবে দাম যদি হয় অস্বাভাবিক তাহলে কী করার আছে? ৭০টা হালি ডিম! ভাবা যায়? এক ডিমের দাম সাড়ে ১৭ টাকা। আমার এত টাকা নেই। দরকার পড়লে না খেয়ে থাকবো তারপরও ডিম খাবো না।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রাম বন্দরে নিলাম কার্যক্রম, নানা জটিলতায় গতির সুফল পাচ্ছেনা বিডাররা

মাসুদ হাসান আরেকজন দিন পাঁচেক আগে থেকে ডিম কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তার যুক্তি এভাবে জীবন চলে না। সবকিছুর একটা সীমারেখা থাকা দরকার। হয়তো কিছু ব্যয় বেড়েছে এ জন্য আগুন-পানির মতো পার্থক্য কেন?

ডিমের দাম বাড়া নিয়ে গত দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আহ্বান জানিয়েছেন, যেভাবে তরমুজ সিন্ডিকেট সায়েস্তা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে সবাই এক সপ্তাহ ডিম কেনা বন্ধ রাখুন। দেখবেন ডিমের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। কারণ ডিম পচনশীল। বিক্রি কমলে এমনিতেই দাম নাগালে আসবে।

ডিমের দাম যে শুধু রাজধানীতেই নাগালের বাইরে চলে গেছে তাই নয়। মফস্বল শহর আর গ্রামেও দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিম কেনা কমে গেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক আবু সালেহ জানাচ্ছেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এ ছাড়া হাঁসের ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ডিম দরিদ্রদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

আবু সালেহ বলেন, ‘গরিবের প্রোটিন’ হিসেবে মুরগির ডিমের চাহিদা অনেক বেশি। তবে এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৪৮ টাকা এবং মহল্লার মুদিদোকানে খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০-৬০ টাকা হালি দরের হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। তার মানে একটি হাসের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে।

ঠাকুরগাঁও সদরের শারমিন নামে এক গৃহবধূ ডিম কিনতে এসে জানান, গত শুক্রবার হাঁসের ছোট সাইজের ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা ও একটু বড় সাইজের ডিম ৬০ টাকা ধরে কিনেছেন। অথচ গতকাল মঙ্গলবার একই দোকানে হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালি কিনতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে। সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, মসলা, সয়াবিন, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগে ১২ হাজার টাকায় সংসারের মাসের খরচ চলে যেত। এখন ২০ হাজার টাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তন্ময় কুমার নামের এক ক্রেতা বলেন, যারা মাছ মাংস সেরকমভাবে কিনতে পারেন না, তারা আমিষ বা প্রোটিন হিসেবে ডিমকেই বেছে নিতেন। কিন্তু সামান্য এই ডিমেরও দাম বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা হালিতে। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে সেটাই ভাবতে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স করা আজহারুল ইসলাম সোহেল। তরুণ উদ্যোক্তা। বড় ভাইয়ের ব্যবসার সুবাধে নিজেও তাতে জড়িয়ে পড়েন। এখন ভালোবেসে নিজেও রাত-দিন তাতে শ্রম দিচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন পোল্ট্রি ফার্ম। তিনি বলেন, এখন খাদ্যের দাম, ভ্যাক্সিন, চিকিৎসা ব্যয়, বিদ্যুৎ, শ্রমিক ব্যয়সহ যে খরচ হয় পোল্ট্রিতে তাতে লাভ বেশি থাকে না। আগে তো লোকসান দিতে হয়েছে। এখন কয়েকদিন ধরে কিছুটা লাভ হচ্ছে। প্রতিটি ডিম ১১ টাকা ৮০ পয়সা বিক্রি করা যাচ্ছে।

দাম বৃদ্ধিতে অনেকেই ডিম না কেনার কথা বলছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকও দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের কোনো সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে আজহারুল ইসলাম সোহেল বলেন, দেখুন সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়তো কিছুটা বিপদে পড়বে তবে সিন্ডিকেট কিন্তু ঠিকই বেঁচে থাকবে। দেশের কাজি ফার্মসহ বেশ কয়েকটি ফার্ম আছে তারাই দৈনিক এক কোটি ডিম উৎপাদন করে থাকে। তারা সেগুলো বিক্রি না করে জমাবে। সপ্তাহখানেক পর আবার বাজারে ছাড়বে। এতে তাদের কিছুই হবে না। ছোট ব্যবসায়ীরা ধরা খাবে।

চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৪১ শতাংশ পরিবারের স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। ফলে দারিদ্রসীমার নিচে বা দারিদ্রসীমার ঠিক ওপরে থাকা পরিবারগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার কিনতে পারছে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৯৯ কোটি ৫২ লাখ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮১ কোটি ডিম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৮ হাজার ৩৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ডিমকেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়েছে। ২০২১ সালে দেশে প্রতিদিন ৫ কোটি ডিম ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন মুরগির মাংসের প্রয়োজন ছিল।

নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ বাজার দখল করে আছে ১০টির মতো কোম্পানি। এরা পোল্ট্রি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগ দিয়ে। এদের মধ্যে কাজি ফার্মস গ্রুপ, নাহার এগ্রো, নারিশ, প্যারাগন, প্রোভিটা, সিপি বাংলাদেশ ইত্যাদি।

ন্যাশনাল পোল্ট্রি কনসালটেন্ট ও সেইফ বায়ো প্রোডাক্টস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান বলেন, পোল্ট্রি খাদ্যের কাঁচামাল, ভ্যাকসিন, মেডিসিন, অ্যান্টিবোয়োটিক এবং পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের আমদানি করা পণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কবলে দেশের পোল্ট্রিশিল্প। ডিমের দাম দীর্ঘদিন প্রতিটি ৪-৫ টাকা ছিল। সম্প্রতি একটু দাম বেড়েছে। তবে খাদ্যের দাম তুলনা করলে এখানেও মূলধন নিয়ে টানাটানি অবস্থা। করোনাকালীন হিসাব করলে গড়ে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ৬.৫০ টাকার চেয়ে বেশি। আর বর্তমান সময়ের খরচ হিসাব করলে তা হবে ৮.৫০ টাকার মতো।

একটা ডিমের উৎপাদন খরচ কত এ সম্পর্কে বলেন, একটা ব্রাউন লেয়ার মুরগি দৈনিক গড়ে ১১৫-১২০ গ্রাম খাদ্য খায়। দুই বছর আগে ১ কেজি লেয়ার মুরগির খাদ্য ছিল গড়ে ৩৫-৩৭ টাকা। এর পরের দুই বছরে দফায় দফায় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ১ কেজি লেয়ার খাদ্যের দাম হয়েছে গড়ে ৫৭ টাকা। অর্থাৎ দুই বছরে কেজিতে ২০-২২ টাকা বেড়েছে। একটা ব্রাউন লেয়ার মুরগি দৈনিক গড়ে ১১৫-১২০ গ্রাম খাদ্য খায়। যদি প্রোডাকশন ৯০% ও ধরি তাহলে একটা ডিম উৎপাদন করতে খাদ্য লাগে প্রায় ১৩০-১৩৫ গ্রাম যার দাম ৭.৪০-৭.৭০ টাকা। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ, পানি, যাতায়াত খরচ, ঔষধ ও কর্মচারীর বেতন ১ টাকা ধরলেও একটা ডিম উৎপাদনে খরচ ৮.৪০-৮.৭০ টাকা (সাদা ডিমে উৎপাদন খরচ ২০-৩০ পয়সা কম লাগে কারণ এটি ১০-১৫ গ্রাম খাদ্য কম খায়)।

আরও পড়ুনঃ  ‘থমকে যাওয়া বিশ্ব নতুন বছরে পাবে জীবনের নতুন রূপ’

উনাইটেড এগ (সেল পয়েন্ট): লাল ডিম ১২ ও সাদা ডিম ১১.৬০ টাকা। ডাম্পিং মার্কেট: লাল (বাদামী) ডিম ১১.৩০ ও সাদা ডিম ১১.৩০ টাকা। দেশের বিভিন্ন বিভাগে ডিমের দাম চট্টগ্রামে লাল (বাদামী) ডিম ১১.৫০ ও সাদা ডিম ১১.১০ টাকা। রাজশাহীতে লাল (বাদামী) ডিম ১১ ও সাদা ডিম ১০.১০ টাকা। খুলনায় লাল (বাদামী) ডিম ১১.৭০ টাকা। বরিশালে লাল (বাদামী) ডিম ১১.২০ টাকা। ময়মনসিংহে লাল (বাদামী) ডিম ১০.৭০ টাকা। সিলেটে লাল (বাদামী) ডিম ১২ টাকা ও সাদা ডিম ১১.৮০ টাকা।

তরুণখামারি আজহারুল ইসলাম সোহেল জানান, এক হাজার মুরগী প্রতিদিনের খরচ ৭ হাজার ৪৪০ টাকা। তাতে খাবার ১২০ কেজি, প্রতি মুরগী ১২০ গ্রাম- ১২০ কেজি মূল্য ৫৭ টাকা করে ১২০ কেজি মোট ৬৮৪০ টাকা। শ্রমিক ৩০০ টাকা ও বিদ্যুৎ ১০০ টাকা। যদিও প্রতিদিন ঔষধ থাকে না তবুও ভ্যাকসিন ও ঔষধ মিলিয়ে আরো ১০০ টাকা। আর ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট একটা সেড তুলতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ টাকা।

প্রথম অবস্থায় ১০০ মুরগীতে ৯০% প্রডাকশন তারপর আস্তে আস্তে কমে। গড়ে ৮৫%। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ৯০% থাকলে ৯০০ ডিমের প্রতিটি ১০.৫০ টাকা হলে ৯ হাজার ৪৫০ টাকা সেখানে উৎপাদন ব্যয় ৭ হাজার ৪৪০ টাকা বাদ দিলে অর্থাৎ বর্তমানে ২০১০ টাকা লাভ হয়। কিন্তু প্রকৃত লাভ হিসেব করে বের করতে হলে অবকাঠামো যেমন খাচা ঘরসহ দীর্ঘ আঠারো মাসের বাজারদর ইত্যাদি সবকিছু হিসেব করতে হবে।

তিনি বলেন, মূলত ৮৫% গড়ে ডিমের প্রোডাকশন হিসেবে তেমন লাভ নেই। ডিম কাঁচামালের হিসেবে কমে বাড়ে কিন্তু খাদ্য উর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভুট্টা আমদানি কমে যাওয়ার কারণে খাদ্যের দাম প্রচুর বৃদ্ধি পায়। গত বছর ৫০ কেজি খাদ্য ছিলো ১৭০০ টাকা এবার ২৮০০ টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন