হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তারাপাশা আলতাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একমাত্র রাস্তাটি জলমগ্ন কাদা-মর্দনায় স্যাঁসসেঁতে অবস্থায় পড়েছে রয়েছে। জনসাধারণ চলাচল করতে না পারায় অনুপযোগি হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় কাদা-পানি থাকায় চলাচল করতে পারছেন না গ্রামবাসীও। অনেক সময় গ্রামবাসীরা অন্যান্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের বাড়ি দিয়ে চলাচল করছেন। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পেরে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ফলে বিদ্যালয়ে দিন দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমছে। যে কারণে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবক মহল।
স্থানীয়রা জানান, নারায়নপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের জেল এল নং-১০৭ ও ৫৭৪ দাগের ওই রাস্তার দু’ পাশের খাল ভরাট ও আংশিক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমাট বেধে থাকে। এতে গর্ত সৃষ্টি হয়ে কাদা থাকায় জনসাধারণের চলাচলে রাস্তাটি অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ওই রাস্তা মেরামতে সরকারি বরাদ্দ আসলেও বাধা প্রদান করছে মহলটি। ফলে রাস্তায় সংস্কার কাজ না করেই বরাদ্দ ফিরে যায়। এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান মিলেনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা রাস্তাটি চলাচলে উপযোগি করে তুলতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন সচেতন মহল।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘রাস্তার দু’ পাশের খাল ভরাট করে দখলে নিয়েছে ভূমিখেকোরা। যে কারণে রাস্তার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা আক্তার পারভিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এ সমস্যায় ভুগছি। বৃষ্টি এলেই রাস্তায় পানির জমাট বাধে। ফলে আমরা শিক্ষকদের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। এ সমস্যার কারণে ঠিকমত ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসেনা। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ করতে বলেন এবং রাস্তাটি পরিদর্শন করে সমস্যার সমাধান করা হবে জানান।