- কাঁচামরিচ ২৮০, শুকনামরিচ ৪৮০
ঠাকুরগাঁওয়ের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম ৩শ’ টাকায় ঠেকেছে। এছাড়াও শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে।
সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি যা খুচরা বাজারে ২৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। আর শুকনা মরিচ ৪২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা খুচরা বাজেরে হচ্ছে ৪৮০ টাকা।
মরিচের দামে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজারে আসা রকি বলেন, সবসময় ৫ থেকে ১০ টাকার মরিচ নিয়ে বাসায় যেতাম। এখন শুধুমাত্র মরিচ কিনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। যা আমাদের সম্পূর্ণ কাচাঁবাজার কেনার বাজেট। সময় বুঝে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। বাড়েনা শুধু আমাদের আয়।
খুচরা ব্যবসায়ী শাহিন জানান, আড়তে পাইকারি বাজারে বেশিদামে কিনে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশিদামে। তবে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েছে ক্ষুদ্র পুঁজি নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা। ১০০ কেজির মরিচের বস্তা কিনতে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা দরকার। এতো পুঁজি অনেক ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ীর কাছেই নেই। আড়ৎদাররা বলছেন মরিচের আমদানি না থাকায় বাজার বেশি।
আড়ৎদার সোহেল জানান, যেদিন ভারত থেকে এলসি মরিচ আসছে সেদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম কমছে। তবে এলসি না ঢুকলেই আবারও বাজার বেড়ে যাচ্ছে। আমদানি কম হওয়ার কারণ হিসেবে তারা অতিরিক্ত খরাকে দায়ী করছেন।
ঠাকুরগাঁও কাঁচামাল আড়তের আড়ৎদার মেহেদি হাসান হিরু বলেন, অতিরিক্ত রোদের তাপে মরিচের ফুল থেকে ফলন আসছেনা। ফুল ঝরে যাচ্ছে। তাই মরিচের সংকটে আমদানি কম। তবে খুব শীঘ্রই মরিচের দাম কমতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।