জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে রপ্তানিতে বড় ধাক্কা আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
শনিবার এফবিসিসিআই’র মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষ খুব বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। কেননা কোনস্থানেই উচ্চবিত্ত মানুষরা ক্ষতির মুখে পড়ে না।
এই দাম বাড়ার ফলে পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সাথে যাদের কম্পিটিশন তারা তো এগিয়ে যাবেই।
তিনি বলেন, সরকার হয়তো ভারতে তেল পাচার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে দাম বাড়িয়েছে। কেননা তেলে ৪২ হতে ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। দেশের বেশিরভাগ জ্বালানি পরিবহন ও কৃষিতে ব্যবহার হয়। এক্ষেত্রে কৃষিচাষে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি ৪৮-৫০ কোটি টাকা লাভ করেছিল তা এখন ভর্তুকি হিসেবে দিতে পারতো। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে দাম বাড়াতে পারতো। সেটি না করে বরং এক সাথে এত দাম বাড়াতে বিপদে পড়বে শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
সভাপতি বলেন, হঠাৎ করে এত বেশি দাম বাড়ানোর কারণে এর প্রভাব আমাদের কৃষিতে পড়বে, পরিবহন-যাতায়াতে পড়বে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবে।
জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়ানো খুবই চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা খুব একটা ভালো না। যে পরিমাণ অর্ডার আসতেছে ইতোমধ্যে আমাদের তিন মাসের গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাস্তবতা বা আমরা কী পরিস্থিতিতে আছি এটা বোঝাতে হলে ‘মরিয়া প্রমাণ করিতে হবে আমি মারা গেছি।
তিনি বলেন, যখন চাহিদা কম থাকে তখন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর বিষয়ে একটা চাপ সৃষ্টি করে। এখন ডিমান্ড কমে গেছে, বায়াররা প্রেসার সৃষ্টি করবে প্রাইজ কমানোর জন্য। তাই এখন ফ্যাক্টরি টিকে রাখার জন্য কম দামে পণ্য তৈরি করতে হবে। ব্যবসা চ্যালেঞ্জে পড়বে।
জসিম উদ্দিন বলেন, এখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় সরকার নিশ্চয়ই কোনো বিষয় বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আমরা কালকে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করব, তখন আমরা বুঝতে পারবো আসল বিষয়টা কী?
আনন্দবাজার/শহক