মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিপরীত সুরে কথা বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি গত সপ্তাহে বলেছিলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ থেকে কোনো ঋণ নিতে হবে না। অথচ তার সপ্তাহখানেক পরেই তিনি ঋণ নেয়ার কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন পর ঋণ থাকবে না, বাংলাদেশ আবার ঋণ দিতে পারবে। গতকাল বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অল্পদিনের মধ্যে খারাপ কোনো অবস্থা হয়নি। আমরা যখন অর্থনীতি ম্যানেজ করি আমাদের কাছে বিভিন্ন পারসপেক্টিভ (পরিপ্রেক্ষিত) দেখতে হয়। আমাদের ঋণ দরকার। আর কিছুদিন, এরপর ঋণ থাকবে না। আমরা তো বলেছিলাম ঋণ দেবো। আমি আবারও বলি আমরা ঋণ দিতে পারবো। আমি আমার চাহিদা সবাই জানতে পারলে আমার ওপর খরচটা বেশি দেবে, সে জন্যই প্রয়োজন নেই বলেছি। এভাবেই আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। ঋণের বিষয়টি যাতে কোনোভাবেই আমাদের বিপক্ষে না যায়। আমরা অর্থ চাই, আমরা বলেছি। কিন্তু কতো লাগবে আমরা সেটি বলিনি।
আইএমএফের কাছে ঋণের বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে দেওয়া হয়নি- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বলা হবেই। এতে সুবিধা হলো সে সময় আমাদের মিটিং চলছে। তাদের টিম এখানে আছে। আমরা চেয়েছি তারা আমাদের সক্ষমতা দেখুক। তারা বাংলাদেশকে ঋণ দেবে, সে জন্য তাদের সুযোগটা দিয়েছি। ভিন্ন কীভাবে আমরা যেতে পারতাম, আমরা ভালোভাবেই হ্যান্ডেল বলে যাচ্ছি।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ২২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২,৩০৮ কোটি ৫২ লাখ ৩২ হাজার ১৩৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) থেকে ব্যয় হবে ১,১০৯ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ঋণ ১,১৯৮ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।