জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেডে চলতি মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৬৭০ টন। ৫৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদনের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে।
এবার মিল এলাকার চার হাজার ৪ একর জমির আখ মাড়াইয়ের জন্য মিলে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া নতুন করে মিল জোন এলাকায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার একর। যদিও এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০০ একরে চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরনে মিল কর্তৃপক্ষ উত্সাহ দেয়ার পাশাপাশি চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।
আখচাষিরা জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদি ফসল ও শীতকালীন আগাম শাকসবজি আবাদ করলে লাভ বেশি হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখের দাম কম। যেকারণে চাষিরা আখ চাষ কমিয়ে দিয়েছেন।
মিলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আব্দুস সালাম ফকির বলেন, বর্তমানে আখ উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে গেছে। কিন্তু মিলের উৎপাদন খরচ একই থাকায় মিলটির লোকসান হচ্ছে। এ লোকসান কাটিয়ে উঠতে হলে কমপক্ষে এক লাখ টন আখ মাড়াই করা প্রয়োজন। মিলের নিজস্ব খামারে প্রায় ৩০ একর জমিতে আখ রোপণের কার্যক্রম চলছে। এরইমধ্যে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ২০১৯-২০ মৌসুমে মিলটির ৫৭তম আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার মিলের প্রবীণ আখচাষি ও শ্রমিকরা ডোংগায় আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে এ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আশা করছি এবার চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
এই সুগার মিলটি জয়পুরহাটসহ তিন জেলার কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিলের মোট জমির পরিমাণ ২১৭ দশমিক ২২ একর। মিলটিতে চিনি ছাড়াও বাই-প্রডাক্ট হিসেবে উৎপাদিত হয় চিটাগুড়। আখের ছোবড়া মাড়াই মৌসুমে বয়লারের জ্বালানি ও পেপার মিলের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য, জয়পুরহাট সুগার মিলের মোট ৮৫টি আখ ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস