শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইটারেজ জাহাজের অবাধে সাগরপাড়ি

লাইটারেজ জাহাজের অবাধে সাগরপাড়ি

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য হ্যান্ডলিং এবং অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন রুটে পণ্য পরিবহনে বে-ক্রসিং (সাগরপাড়ি) অনুমোদন নেই এমন জাহাজকে ছাড়পত্র না দিতে বলা হয়েছে। নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলকে (ডব্লিউটিসি) এই নির্দেশনা দিয়ে জরুরিপত্র দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং বন্দরের অভ্যন্তরের ওভারসাইট থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন রুটে কোটি কোটি টন পণ্য পরিবাহিত হয়। এই বিপুল পরিমাণ পণ্য পরিবহনে হাজার দেড়েক লাইটারেজ জাহাজ নিয়োজিত রয়েছে। এ সব জাহাজের অধিকাংশেংরই বে-ক্রসিং পারমিশন নেই। একটি জাহাজের বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে ওই জাহাজটি সাগর পাড়ি (বে-ক্রস) দিয়ে নদীপথে চলাচল করতে পারবে কিনা তা অনুমোদন দেয়। এটিই বে-ক্রসিং অনুমোদন। কিন্তু এই অনুমোদন নেই এমন বহু জাহাজই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে পণ্য পরিবহন করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।

সমুদ্রে যেতে হলে যে কোনো জাহাজেরই বে-ক্রসিং ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রচলিত আইনের এই শর্তটি লঙ্ঘন করেই ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের জন্য জাহাজ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। বিষয়টিকে বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ বলে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে ডব্লিউটিসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিন গত ১৯ জুলাই এই পত্র প্রদান করেন। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালককে চিঠিটি প্রদান করা হয়েছে।

আমদানিকারকরা বে-ক্রসিং ছাড়পত্র নেই এমন জাহাজ বরাদ্দ না দিতে দীর্ঘদিন ধরে ডব্লিউটিসির কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। এই ইস্যুতে জাহাজের বার্থিং মিটিংও কয়েকদিন বন্ধ ছিল। অবশেষে উভয়পক্ষের আপোষরফায় জাহাজ বরাদ্দ শুরু হলেও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই নির্দেশনা আমদানিকারকদের আশাবাদী করেছে। বে-ক্রসিং ছাড়পত্র না থাকা জাহাজগুলো পণ্য পরিবহনকালে ডুবে কিংবা কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমদানিকারকেরা বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে পারেন না।

আরও পড়ুনঃ  ঝিনাইদহে ৪০ ইঞ্চি ও ৪২ ইঞ্চি ক্ষুদ্রাকৃতির নবদম্পতিকে দেখতে মানুষের ঢল

বিমা কোম্পানি অননুমোদিত জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের জন্য উল্টো আমদানিকারকদের শাসিয়ে থাকে। এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার বিমা দাবি নাকচ করে দেয়া হয়েছে। আমদানিকারকদের প্রতিনিধি, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের একাধিক পণ্যের এজেন্ট বলেছেন, বে-ক্রসিং পারমিশন ছাড়া জাহাজের অবাধ চলাচল পুরো সেক্টরের জন্যই হুমকি হয়ে উঠেছিল। ডিজি মহোদয় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে সকলেই স্বস্তি পাবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন