চলতি বছরে বাংলাদেশে বায়ু দূষণের পরিমাণ বেড়েছে যা কিনা গত বছরের তুলনায় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশেরও বেশি । এছাড়াও গত ১৩ মাসে (নভেম্বর ২০১৮ থেকে নভেম্বর ২০১৯) রাজধানীবাসী মাত্র নয় দিন বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণ করেছে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবীণ ও শিশুদের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব রোধে করণীয় শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (কেপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার জানান, কেপসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১৩ মাসে মধ্যে মাত্র ঢাকার মানুষ মাত্র দুই শতাংশ (৯ দিন) সময় বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণ করেছে, ৪৮ শতাংশ (১৮৮ দিন) সময় মধ্যম থেকে সতর্কতামূলক দূষিত বায়ু গ্রহণ করেছ, ২৮ শতাংশ (১০৭ দিন) সময় অস্বাস্থ্যকর বায়ু, ২১ শতাংশ (৮২ দিন) সময় খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু এবং এক শতাংশ (৫দিন)সময় মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর বায়ু গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এসব দূষণের জন্য মানুষের ফুসফুসে ক্যানসার, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, কিডনির রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত ত্রুটি, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব, হার্ট অ্যাটাক, যকৃৎ সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের ওপর প্রভাব, চর্মরোগ ও নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এর মতে বায়ু দূষণের ফলে বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়। বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ফলে ৪৬ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু মাত্র ঢাকায় ১০ হাজার মানুষ মারা যায়।
আনন্দবাজার/এম.কে