দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আগামী ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এই তারিখ ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক এই তথ্য জানান।
মাহমুদুল হক বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার আদালতে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এসময় তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আগামী ২৭ জুলাই মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য ছিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী। এর আগে আদালত গত ২০ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও ২৭ জুন আসামিপক্ষ পৃথকভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলা করেন। ২০২১ সালে ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দেয়। একই বছর ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ওই অভিযোগপত্রে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি ও পাঁচলাইশ থানার ষোলোশহরের একটি বাড়ি, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও কক্সবাজারে চুমকির নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রদীপ দম্পতির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হদিস মিলেছে। যার মধ্যে বৈধ আয় থেকে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার সম্পদ পায় দুদক। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।