নির্মাণ কাজ দুই বছর বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের এলাকাবাসী। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম রজপাড়া থেকে পূর্ব রজপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় স্কুলগামী শিশুসহ বয়স্কদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমান্য একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে কর্দমাক্ত ও জলাবদ্ধতা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন টিয়াখালী ইউপির রজপাড়ার গ্রামের লোকজন। বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-খাট দুর্ঘটনা। তাই রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, গত দু’বছর আগে এ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। রাস্তায় বিছানো ছিলো ইট। তাও উঠিয়ে নিয়ে গেছে। দুই পাশের মাটি কেটে ফেলানো হয়েছে বালু। তবে, বর্তমানে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন স্থানে জমে যায় পানি। এতে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়াই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিম রজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল হাওলাদার বলেন, আগে রাস্তায় ইট ছিলো। ঠিকাদার সেই ইটও রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এর পর বালু ফেলা হয়। তবে, রাস্তা নির্মাণ হয়নি। বর্তমানে এ রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টমটম চলাক রাকিবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই এ রাস্তায় তাদের গাড়ি চালাচ্ছেনা। তবে, বিশেষ কোনো কারণে গাড়ি ঢুকালেও বেকায়দায় পড়তে হয়। এছাড়া গাড়ি উল্টে অনেকে আহত হয়েছে। একই গ্রামের গৃহবধু পারভিন বেগম বলেন, এ রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে তাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা। এমনকি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. হাফিস বলেন, এ রাস্তাটির কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে।
এ ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. আব্দুল রব জোমদ্দার বলেন, এ রাস্তার জন্য গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহামুদুর রহমান সুজন মোল্লা বলেন, আগের যে ঠিকাদার কাজটি পেয়েছিল স্থানীয় ঝামেলার কারণে তা করতে পারেনি। ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলার পর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্ট চলছে।