ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের পদ আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল ধম্মিকা দাসানায়েক স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার এই ঘোষণা দেন। লঙ্কান গণমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সেক্রেটারি জেনারেল পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ১৯ জুলাই তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। সকাল ১০টা থেকে সেদিন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হবে।

দাসানায়েকে বলেন, যদি একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০ জুলাই পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে পার্লামেন্টে আজ বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তবে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলেও দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। তিনি তার পদত্যাপত্রে এসব কথা জানান। তার পদত্যাগপত্রটি গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে পড়ে শোনানো হয়।

পার্লামেন্টে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন আহ্বান করা হলে সংসদের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক স্পিকারের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্রটি পড়ে শোনান। চিঠিতে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে আরও বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে কোভিড মহামারি সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করে। তিনি সে সময়ে শ্রীলঙ্কাকে মহামারি থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালান এবং তাতে তিনি সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে লকডাউন কার্যকর করার মাধ্যমে, দেশ বৈদেশিক মুদ্রা হারায় এবং অর্থনীতি ধসে পড়ে। যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

এদিকে বিশেষ অধিবেশনের সময় পুরো পার্লামেন্ট ঘিরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পার্লামেন্টের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জনসাধারণকে বিকল্প পথ ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার (১৫ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। লঙ্কান প্রধান বিচারপতি জয়ন্তা জয়সুরিয়া শপথবাক্য পাঠ করান তাকে।

শপথ নেওয়ার পর রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আগামী ২০ জুলাই সব সংসদ সদস্য (এমপি) যেন স্বাধীনভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং সংবিধান সমুন্নত রাখতে কাজ চালিয়ে যাবেন।

শ্রীলঙ্কায় পলাতক গোতাবায়া রাজপাকসের ছেড়ে যাওয়া প্রেসিডেন্টের পদ দখলের লড়াইয়ে রয়েছেন মূলত তিনজন- প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে, পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা ও প্রবীণ সাংবাদিক তথা পার্লামেন্ট সদস্য ডলাস অলহাপেরুমনা।

সংবিধান ও ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (বিশেষ বিধান) আইন নম্বর ২ এর ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পার্লামেন্ট স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বসার কথা। প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার তিন দিনের মধ্যে সংসদ আহ্বান করার কথা বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন