- বেশি দাম হাঁকানোয় বেচাকেনায় ভাটা
ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ কোরবানীর পশুর হাট। এ হাটে অন্যান্য বছরের তুলনায় গোবাদি পশু অধিক মাত্রায় আমদানী হলেও সে
তোলনায় বেচা বিক্রি কম। গত বুধবার এই হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে নিয়ে আসে অনেক বিক্রেতাগণ। এ বৎসর পশুর হাটে নির্ধারিত স্থান পেরিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে গাদাগাদি করে পশু বেচাকেনা শুরু হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে শহরে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন থেকে এ হাটে কোরবানী গবাদি পশুসহ সব রকমের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। এ বছর অন্যান্য বছরের ন্যায় একই নির্ধারিত স্থানে পশুর হাটে ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়। কিন্তু এ বছর সর্বাধিক পরিমাণ গবাদি পশুর আমদানী হওয়ার কারণে হাটের নির্ধারিত স্থান পেরিয়ে অবশেষে কামিল মাদ্রাসা গেইটের অলি-গলিতে গবাদি পশু বেচাকেনা শুরু হয়। এতে বিঘ্নিত হয় শহরের অন্যান্য দোকানিদের স্বাভাবিক বেচাকেনা।
নাজিরপুর গ্রাম থেকে পশু ক্রেতা মো. সোবাহান মন্ডল জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হাটে এত বেশী পরিমাণ কোরবানির পশু উঠেছে যা আগে কখনও দেখিনি। তবে গবাদিপশুর আমদানি বেশি হলেও বিক্রেতারা ইচ্ছেমত বেশি মুল্য হাঁকানোর কারণে বেচাকেনা একেবারেই কম হয়েছে বলে তিনি জানান। ফলে অধিকাংশ ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে কোরবানির পশু না কিনেই বাড়ী ফিরতে হচ্ছে।
হাটে আসা পোল্যাকান্দি নামাপাড়ার গরু বিক্রেতা আব্দুল সামাদ জানায়, এ বছর হাটে অধিক পরিমাণ কোরবানির পশু উঠেছিল। কিন্ত বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার পরিমাণ খুব কম। এ কারণে হাটে পশু বেচাকেনা তেমন হয়নি, তাই পশুটি বাড়ি ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
দেওয়ানগঞ্জ শহরের মাদ্রাসা রোডের ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন, বারেক মিয়া এরা জানায়, এ বছর কোরবানির অধিক পরিমাণ গবাদিপশু হাটে উঠেছে। তাই গো-হাটে স্থান জায়গা না হওয়ায় মাদ্রাসা গেইট পর্যন্ত অলি গলির মধ্যে গবাদি পশু বেচাকেনার জন্য বিক্রেতাগণ অপেক্ষা করছে। ফলে আমাদের বিভিন্ন রকমারী দোকানে বেচাকেনায় চরম সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ গো-হাটের ইজারাদার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তারিকুজ্জামান তারিক জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হাটে কোরবানির পশুর দ্বিগুণ আগমন হয়েছে। তাই গো হাটে স্থানের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিক্রেতাগণ পশুর দাম অত্যাধিক বেশী চাওয়ায় সে হারে বেচাকেনা হয়নি। এ হাটে ক্রেতাবিক্রেতা উভয়ে হয়রানি বা প্রতারিত না হয়, সে জন্য হাট কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকে বলে নিদ্দিধায় পশু আমদানী হয়ে থাকে বলে জানান।