ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা

পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা

কোনো পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। একই সঙ্গে গ্রাহক প্রতারনা রোধে অনলাইনেও মনিটরিং করা হচ্ছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু করেছে র‍্যাব। পশুর হাটকেন্দ্রিক এবং মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সবার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী হাটে আনা গরুর মধ্যে মোটাতাজাকরণ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট পশু ডাক্তারসহ অভিযান পরিচালনা করছেন। তারা দেখছেন কেউ মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করেছে কি না। কোনো পশুকে ওষুধ খাইয়ে হাটে আনা হলেও পশুর ডাক্তার বিষয়টি বুঝবেন। এমন কোনো ব্যবসায়ীকে পাওয়া গেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, হাট কেন্দ্রিক জাল টাকার লেনদেন বৃদ্ধি পায়। আমাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন রয়েছে। সন্দেহ হলে আমাদের কাছে এসে যেকেউ মেশিনের মাধ্যমে টাকা যাচাই করে নিতে পারবেন। আমরা বিভিন্ন পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু নিয়ে এসেছেন। তবে আসার পথে কোথাও কোনো ধরনের ডাকাতি বা চাঁদাবাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। কোথাও এমন কোনো সম্ভাবনা থেকে থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

কোন ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে প্রচুর পশু কেনাবেচা হচ্ছে। তাই অনলাইনেও মনিটরিং করা হচ্ছে। গ্রাহক যেন কোনোভাবেই প্রতারিত না হয়। আমরা যেকোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন