করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যাবার নির্দেশনা দিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে দেশে বিদ্যুৎ সংকট কারনে আসন্ন কোরবানির ঈদ উদযাপনে আলোকসজ্জায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড সংক্রমণের লাগাম টানতে ঈদ জামাতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রেখে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে জামাতে দাঁড়াতে হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিডের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
আগামী ১০ জুলাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে । বর্তমানে সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে আট দফা নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনাগুলো হলো- ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে ঈদগাহে বা মসজিদে আসতে হবে; করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদ বা ঈদগাহের ওযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; ঈদের জামায়াতে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
তাছাড়া জায়নামাজ ও টুপি নিয়ে আসতে হবে বাসা থেকে; ঈদের নামাজ পড়ার সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে; করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দোয়া করতে হবে; খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
