রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বস্ত্র আইনের বিধিমালায় ভিন্নমত শিল্প মালিকদের

বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় দেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের সকল প্রতিষ্ঠানকে পোষক কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন নিতে হবে। বস্ত্র আইন. ২০১৮ প্রণয়নের মাধ্যমে এ বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নে সম্প্রতি ‘বস্ত্র (শিল্প নিবন্ধন) বিধিমালা ২০১৯’-এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

খসড়ায় শিল্প নিবন্ধন সনদপ্রাপ্তির জন্য এক ডজনেরও বেশি শর্ত পরিপালন করতে হবে। এ শর্ত ও বিধিমালার বেশকিছু ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিনিধিরা।

গত বছর বস্ত্র আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করে সরকার। এ আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সম্প্রতি তৈরি করা খসড়ায় প্রায় ১৫টি শর্ত পরিপালনের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।

সেগুলো হলো-  ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক সচ্ছলতার প্রত্যয়নপত্র ও স্থানীয় বা বিদেশী ঋণ থাকলে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের অনুলিপি দাখিল। পরিবেশ ছাড়পত্র দাখিল। অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম যথাযথ স্থানে ও কার্যকর অবস্থায় স্থাপন করা। অধিদপ্তর কারখানা চলাকালে যেকোনো সময় কারখানা পরিদর্শন করা। শিল্প-কারখানায় স্বল্প খরচে খাবারের ক্যান্টিন সুবিধা রাখা। এছাড়া বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় ওয়ানস্টপ সার্ভিস বিধিতে বস্ত্র শিল্প স্থাপনে অনাপত্তিপত্রসহ শিল্প আমদানি নিবন্ধন সনদ, মেশিন ছাড়করণের সুপারিশ, আমদানি অনুমোদন জারির সুপারিশসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের।

বিটিএমএ বলছে, বস্ত্র শিল্পের প্রস্তাবিত নিবন্ধনের আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক সলভেন্সি সম্পর্কিত সনদ দাখিলের সম্পর্ক কী, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রয়োজন। পাশাপাশি নিবন্ধনের আবেদনের সঙ্গে বিদেশী ঋণ থাকলে তার মঞ্জুরিপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একান্তই নিজস্ব এবং গোপনীয় বিধায় এ ধারাটি বাদ দেয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ

পরিবেশ ছাড়পত্রের বিষয়ে বিটিএমএ মন্তব্য,  স্পিনিং, উইভিং ও নিট ফ্যাব্রিক মিল কোনো ধরনের ওয়েট প্রসেস করে না। ফলে মিলের দ্বারা পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর আশঙ্কা না থাকায় মিলগুলোকে নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের সময় পরিবেশ সনদ দাখিল থেকে অব্যাহতি দেয়া অত্যাবশ্যক।

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, আইনের বিধিমালার বেশকিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মত রয়েছে। সেগুলো লিখিতভাবে জানানোর পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে বিধিমালাকে সংগতিপূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা বলেন, আইনটি নতুন করা হয়েছে, যা পরিপালনে বিধির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিধির বিভিন্ন দিক নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন