ঢাকা | মঙ্গলবার
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়তে পারে পাম অয়েলের দাম

উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস (বিএমডি) বেঞ্চমার্কে বেশ কয়েক মাস ধরে এ ভোজ্যতেলটির দাম বাড়তি থাকায় বাজারে চাঙ্গা ভাব বিদ্যমান। এ কারণেই আগামী জানুয়ারিতে সিপিওর দাম টনপ্রতি ৩ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর কোজেন্সিস।

শীতে পাম অয়েল জমে যাওয়ায় চাহিদা কম থাকে। তবে মাঝে মধ্যে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই কারণে পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৩ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছেছিল।

পাম অয়েলের বাজার বিশেষজ্ঞ ও গুজরাটভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার গোভিন্দভাই প্যাটেল মনে করেন, পাম অয়েলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রতি টন সিপিওর দাম ৩ হাজার রিঙ্গিত হতে পারে।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভোজ্যতেলটির দাম যদি ৩ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছায়। তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। কারণ দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় এরই মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি চলছে। এর ওপর পাম অয়েল আমদানি অতিরিক্ত ব্যয় দেশটির ভোগ্যপণ্যের বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

বর্তমানে বিএমডিতে আগামী মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৯১৫ রিঙ্গিত। যেখানে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টনের দাম ছিল ২ হাজার ৯৩০ রিঙ্গিত, যা গত অক্টোবরের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন