সব ধরনের সূচকের উত্থান
লেনদেন
- ডিএসইর ৯শ কোটিতে, সিএসইর ৮০ কোটি
- শীর্ষে ডিএসইতে বেক্সিমকো, সিএসইতে রবি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন বেড়ে ৯শ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করে। অপরদিক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়ে ৪০ কোটি ঘরে চলে এসেছে। উভয় স্টকের সব ধরনের সূচক উত্থান হয়।
বিভিন্ন মহলের শত চেষ্টায় পুঁজিবাজার উত্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, সবাই ধৈর্য ধরুন,পুঁজিবাজার ভালো হবে। শিবলী রুবাইয়াতের এমন আশ্বাসের ঠিক পরের কার্যদিবস সত্যিই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। কিছুদিন পর ঘুরে ফিরে সেই পুঁজিবাজার উত্থান পতনে একাকার। এ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
দুই স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সিএসইর ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। অপরদিক ডিএসইর ৪১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সিএসইর ৪১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন ডিএসইর সব খাতের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়া-কমার ছন্দ দেকা যায়। অপরদিকে সিএসইর বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
ডিএসইতে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৬৬২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৬০টির, কমেছে ১৫৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭২ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৩০১ দশমিক ৯১ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৩৮৯ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে এদিন (মঙ্গলবার) লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ১২৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪২টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৭৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৭০ দশমিক ১০ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৭ দশমিক ৪২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৪৫ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৯ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৬০৭ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২৫০ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ১৮৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। বেক্সিমকো ৯৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রবি ৫৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, তিতাস গ্যাস ৪৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুড ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, গ্রামীনফোন ২৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ২৫ কোটি ১ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ফরচুন সুজ ১৮ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং জেএমআই হসপিটাল ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিকে সিএসইতে রবির শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন রবি ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নাহি এ্যালুমিনিয়াম ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাত ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংক ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস ৮৬ লাখ টাকা, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো ৮৩ লাখ টাকা এবং মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।