ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমজমাট হাটে বেচা-কেনা সীমিত

জমজমাট হাটে বেচা-কেনা সীমিত

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাজারগুলোতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। বেচা-কেনা সীমিত হওয়ায় বিক্রেতারা বিপাকে। পশুরহাটে কানায় কানায় ভরে উঠেছে পশুসহ ক্রেতা ও বিক্রেতা দিয়ে। আর মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে বেচা-কেনা হচ্ছে সীমিত। উপজেলার একমাত্র শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম পশুর হাটে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ পশুর হাটে ততই বাড়ছে গরু-ছাগলের বেচা-কেনা। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটে ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।

উপজেলার কোরবানির হাটগুলোর মধ্যে উলিপুরের হাট, দুর্গাপুরের হাট, থেতরাই হাটসহ আরও কয়েকটি ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির হাটে ক্রেতার অনেক ভিড়। জমজমাট হয়ে উঠেছে কোরবানির হাট। এবার হাটে ভারতীয় গরু না থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারিরা। পছন্দমতো গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তবে চলতি বছর বড় গরুর চাহিদা কিছুটা মন্দা। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি, ব্যাপারী ও গৃহস্থরা ভিড় করছেন গরু-ছাগল কেনা-বেচার জন্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের গরু কেনার জন্য। বিশাল পশুর মাঠ যেখানে পা রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। অধিকাংশ ক্রেতারা বাড়ি ফিরছেন পছন্দমতো কোরবানির গরু কিনে। কেউ কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য। হাটে সার্বিক নিরাপত্তায় উলিপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

উলিপুর হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন মোল্লা জানান, হাটে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামের অনেক বড় বড় গরু এসেছে। বেছা-কিনা কম হচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দ ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা দামের গরু। তবে বন্যার কারণে এবার বাইরের ব্যাপারী কম থাকলেও স্থানীয়ভাবে ছাগলেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গরু বিক্রেতা ও খামারিরা জানান, এবার হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা একটু বেশি। এ ধরনের গরু এনে তারা ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন