বাংলাদেশের ইতিহাসে নারী রেফারিদের মাইলফলক গড়েছেন জয়া চাকমা। ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে ফিফা রেফারি হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের সর্বশেষ হার্ডলটা পার হতে পেরেছেন। এতোদিন ফিফার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। সেটিও পেয়েছেন জয়া।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এক মেইল বার্তায় ফিফা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
তবে, বয়স কম হওয়ায় তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আগামী এক বছর মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন জয়া।
দক্ষিণ এশিয়ায় চারজন নারী ফিফা রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারতের আর একজন করে আছেন নেপাল ও ভুটানের। ফিফার পঞ্চম এশিয়ান নারী রেফারি হতে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের জয়া।
খেলোয়াড়ী জীবনের পর ২০১০ সালে রেফারিংয়ে মনোনিবেশ করেন রাঙামাটির মেয়ে জয়া। এর আগে লেভেল ৩, ২ ও ১ কোর্স শেষ করে জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হয়েছেন। পরে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলায় বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হলেন তিনি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস