ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারশালা

টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারশালা

দুয়ারে কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কামারি ও শ্রমিকেরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাঁদের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু কাটাকাটিতে প্রয়োজন ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম পেটানোর টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে ভাঙ্গুড়ার বিভিন্ন কামারশালা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কামার এবং বিক্রেতারা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত টুংটাং শব্দে মুখরিত আছে কামারশালাগুলো। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাঁদের দোকানে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শরৎনগর বাজারের কামার রতন ও আবুল হোসেন দৈনিক আনন্দবাজার কে জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ক্রেতারা পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি ক্রয় করতে আসছেন। কেউ কেউ পুরোনো সরঞ্জামাদি ধারালো করতে নিয়ে আসছেন। ঈদের দু’একদিন আগে কাজের চাপ আরও বাড়তে পারে। বছরের এ একটি সময় দা, চাকু, কুড়ালসহ লোহার সরঞ্জামের চাহিদা বেশি থাকায় তাদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয় বলেও জানান তারা।

ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া মাস্টার পাড়া মহল্লা থেকে আসা ক্রেতা আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সামাদ মাষ্টার (অব: প্রধান শিক্ষক) বলেন, ‘আমি ১৪০ টাকা দিয়ে একটি ছোট ছুরি ও ৪০০ টাকা দিয়ে একটি বড় ছুরি কিনেছি। সরঞ্জামাদির দাম মোটামুটি হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন