ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে লাল বাদশায় কাঁপবে হাট

পিরোজপুরে লাল বাদশায় কাঁপবে হাট

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পিরোজপুর সদরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জেলার সবচেয়ে বড় গরু ‘লাল বাদশা’। শাহী ওয়াল জাতের এ গরুটির ওজন ৩২ মণ। কোরবানিতে গরুটিকে বিক্রি করে নিজ জীবন-সংসারকে আলোকিত করার স্বপ্ন দেখছেন মালিক সাখাওয়াত হোসেন। ‘লাল বাদশা’ বর্তমানে জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভঙ্কর দত্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৈহিক উচ্চতা ও গড়নে যেমন, তেমনি তার চলাফেরা। মেজাজ প্রচণ্ড গরম। নড়াচড়া করাতেই তার জন্য প্রয়োজন হয় ৭ থেকে ৮ জন লোক। প্রতিদিনই তাকে ২ থেকে ৩ বার গোসল করাতে হয়। সেক্ষেত্রে এ গরুটিকে ভরনপোষনে হিমসিম খাচ্ছেন মালিক সাখাওয়াত হোসেন। পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভোরা এলাকায় গরুটিকে দেখতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। প্রায় সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার লাল রঙের গরুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।

গরুর মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাল বাদশার খাদ্য তালিকায় রয়েছে দেশী ঘাস, খৈল, ভূষিসহ সকল দেশীয় খাদ্য। দিনে দুই থেকে তিন বার গোসল করাতে হয় তাকে। বর্তমানে গরু লাল বাদশা ওজন প্রায় ৩২ মণ হয়েছে। এ বছর সঠিক পরিচর্যায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে লাল বাদশার দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। মানুষ যাতে তাকে এসে দেখে যায় আমার সেই আহ্বান থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শাহীওয়াল জাতের এ গরুটিকে আমি বাছুর অবস্থায় কিনেছিলাম। প্রাকৃতিকভাবে আমরা ঘাস, খড়-কুটা খাইয়ে গরুটিকে চার বছর লালন-পালন করছি। এখন আর তার সঙ্গে শক্তিতে পারি না। ৮ লাখ টাকায় গরুটিকে বিক্রি করতে পারলে আমার খরচের জায়গাটা থাকে। ০১৭৮৭-০৭১৭৪৬ এবং ০১৭২৮৫৪৩৬২০ এ নাম্বারে যোগাযোগ করলে আমার সাথে কথা বলা যাবে।

কদমতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজ প্রচেষ্টায় গরুটিকে এ পর্যন্ত নিয়ে কয়েকবছর যাবৎ মালিক সাখাওয়াত অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছেন। যার ফলে দেশীয় পদ্ধতিতে কৃত্রিম কোনো কিছু ছাড়াই গরুটির অবস্থান আজ এমন। তিনি ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে গরুটি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভঙ্কর দত্ত জানান, আমরা গরুটির সম্পর্কে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি। লাল বাদশা বর্তমানে পিরোজপুর জেলার সব থেকে বড় গরু। লাল বাদশা ছাড়াও এই উপজেলায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু ও ৪ হাজার ৫৪৫টি ছাগল-ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। যা আমাদের উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায় বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন