ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
  • ফের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বন্যার পানিতে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে টানা ভারী বৃষ্টিপাত ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে প্রান্তিক চাষিদের শতশত বিঘার উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। ফসল হারিয়েও অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এ দিকে  ক্ষতিপুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগের সহযোগী চেয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে আবারও নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার কারণে ক্ষতির শংকা করছেন প্রান্তিক চাষিরা।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শতশত কৃষকের ক্ষেতের পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা, পটল ও শাক সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলাজুড়ে এবারের বন্যায় আউশ ধান ৭০০ হেক্টর, আমন বীজতলা ১৬০ হেক্টর, পাট ৬০ হেক্টর ও পটল ১৫ হেক্টরসহ বিভিন্ন শাক সবজি ১৫০ হেক্টর পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। 

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পটল চাষি জহুরুল হক জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে ২০ শতক জমির পটলের গাছ মরে গেছে। তিনি ১৭ হাজার টাকা খরচ করেছেন। মাত্র ২ হাজার টাকা পটল বিক্রি করেছেন। এরই মধ্যে গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে পটল ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় পুরো পটল ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

একই এলাকার কৃষক বাবুল মিয়া জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে ২০ শতক জমির পটল ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনিও চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তিনিসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপুষিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগের সহযোগীতা চেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, কৃষিবিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপুষিয়ে উঠতে সব ধরণের সহযোগী করার আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন