ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে ক্ষীরা চাষে লাভবান কৃষক

গত ২০ বছর ধরে চাঁদপুরে কৃষকদের কাছে ক্ষীরা আবাদ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবছর প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ দশমিক ৬০ মেট্রিক টন। পুরো জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নয় হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষীরা আবাদ হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলায়।

সেচ প্রকল্পের বাইরের জমিতে পলিমাটির কারণে বীজ ও পরিচর্যা ছাড়া অন্য কোনো খরচ না হওয়ায় কৃষকরা ক্ষীরা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মৌসুমের শেষ মুহূর্তেও তারা ক্ষীরা বিক্রি করে এবছর খুবই লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ক্ষীরা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৮৫ হেক্টর। এর মধ্যে জেলা সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১৪০ হেক্টর, মতলব উত্তর উপজেলায় ১২০ হেক্টর, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৮০ হেক্টর। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় ১০-২০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা আবাদ করা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল, গজরা ইউনিয়নে এবছর ক্ষীরা আবাদ নেমেছেন কৃষকরা। তারা প্রতিবছরই আগাম ক্ষীরা আবাদ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করে থাকেন। একেক জমিতে একাধিকবারও ক্ষীরা আবাদ করেন জেলার কৃষকরা।

মতলব উত্তর উপজেলার গজরা এলাকার কৃষক জাকির হোসেন জানান, এবার ৪০ শতাংশ জমিতে ক্ষীরা আবাদ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে কিছুটা ক্ষতি হওয়ার কারণে ফলন একটু দেরি হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে এবার ১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

কৃষাণী নুরজাহান বেগম বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে জমিতে ক্ষীরা আবাদ করছি। এবারও প্রায় এক হেক্টর জমিতে ক্ষীরা আবাদ করেছি। পরিবারের সবাই জমিতে পরিচর্যা করেন। তাই আমাদের খরচ কম হয়েছে। এবছর তিনি কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভবান হবেন। মৌসুমের শুরুতে তিনি প্রতিকেজি ক্ষীরা বিক্রি করেছেন ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ বলেন, এই বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র কারণে পুরো জেলায় প্রায় ১০-১৫ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে বড় ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় কৃষকদের পরিচর্যায় সব ফসল আবার বেড়ে উঠেছে। অন্যান্য ফসলের ন্যায় ক্ষীরা আবাদও ক্ষতিরমুখে পড়ে। তারপরেও যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে তাতে কৃষকরা লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন। কারণ বাজারে ক্ষীরার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন