টাঙ্গাইলে একটি হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন। এসময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান এতথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, জেলার ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।
সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জেলার ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামীরা পার্শ্ববর্তী একটি জমিতে জোরপূর্বক দখল নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। এসময় জমির মালিক আব্দুর রহিম তাদের বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সুলতান মিয়া ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত মিজানুর রহমান, মুনসুর আলী ও জামাল ফকিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয় এবং অপর দণ্ডিত সেজুন মিয়া পলাতাক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।