- অন্যরকম এক অ্যাডভেঞ্চার
সকাল ৬টায় শুরু হয় টোল কার্যক্রম। তার আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল বহু যান। ভোর থেকেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রসওয়ে ভিড় জমাতে থাকে যানবাহনের। প্রবল আগ্রহ আর উত্তেজনা নিয়ে ছয়টি টোল ঘরের একটিতে টাকা পরিশোধ করেই সেতুতে ওঠা। দারুণ এক অভিজ্ঞতা। সবাই নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে মোবাইল ফোনে ভিডিও বা ছবি তুলেছেন। সেতু পার হয়ে অনেকে দুইহাত উঁচু করে বিশ্ব জয়ের হাতছানি দিয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ প্রান্ত থেকে আসা সায়েম সরদার বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা একটি স্মরণীয় দিন। অন্যরকম এক অনুভুতি। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেতুর ওপর দিয়ে যখন আসছি তখন মনে অন্যরকম একটা অ্যাডভেঞ্চার মনে হচ্ছ। সমস্ত শরীর শিহরিত।
টোল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, সকাল ৬টা থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। ছয়টি টোলঘর থেকে টোল নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। কোনো সমস্যা হয় নি। আমরা চাচ্ছি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে টোল কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে নির্ধারিত টোল টোল পরিষদ করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আসেন।
পদ্মা সেতু পারাপারে সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে।
বাসের ক্ষেত্রে ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা, ট্রাককে (পাঁচ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ ১১ টন) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাকে (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা টোল দিতে হবে।