কিছুক্ষণ আগেই ভোরের আলো ফোটেছে। ঘড়ির কাঁটা ছয়টা বাজতে আরও কয়েক মিনিট বাকি। পদ্মার দুই পারে দীর্ঘ যানবাহনের লাইন। অথচ কারো মুখে এই টুকু বিরক্তি নেই। আছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস এর হাসি। অনেকেই আবার যানবাহন মালা ও বেলুন দিয়ে সাজানো ছিল।
কারণ কিছুক্ষণ পরেই পাড়ি দিতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এজন্য এক অন্যরকম সকালে অন্যরকম মায়া ভোরের আলো।
আজ রবিবার সকাল ছয়টা থেকে পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন যানবাহনে সেতু পার হচ্ছেন শত শত মানুষ। সবার মধ্যেই দেখা গেছে উচ্ছ্বাস।
ভোর থেকেই মাওয়া প্রান্তে সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। সেতু পারাপারের জন্য শত শত মানুষ অপেক্ষায় আছেন।
হাসিমুখে টোল প্লাজায় টোল দিয়ে সেতু পার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন। বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি—সব ধরনের যানবাহনই সেতুতে বেশি দেখা গেছে। অনেক যানবাহন মালা ও বেলুন দিয়ে সাজানো ছিল।
গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীই প্রথম পদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে সেতু পার হন। মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে যান তিনি। সেতু উদ্বোধনের সময় আকাশে বর্ণিল ধোঁয়া ওড়ানো হয়। বিমানবাহিনীর সুদৃশ্য মহড়া চলে। উদ্বোধনের পর দুই পারের অসংখ্য মানুষ পদ্মা সেতুতে নেমে পড়েন। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় তাঁদের মধ্যে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ পুরো দেশের সঙ্গে যুক্ত হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা।
আনন্দবাজার/শহক