ঢাকা | রবিবার
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন: জামিলুরকন্যা

বাবা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন: জামিলুরকন্যা

পদ্মা সেতুর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। ২০২০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মেয়ে প্রকৌশলী কারিশমা ফারহীন চৌধুরী যুক্তরাজ্য আগ্রহভরে চোখ রেখেছেন সেতুর অগ্রগতির ওপর। কারিশমা বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকল্পটি নিয়ে তার বাবার গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন। ঐতিহাসিক ক্ষণে দাঁড়িয়ে কারিশমা বলেন, বাবা বেঁচে থাকলে দারুণ খুশি হতেন। তার অবর্তমানে দলের অন্য সদস্যরা সেতুটি তৈরি করতে পেরেছেন, এতে নিশ্চয় গৌরবান্বিত হতেন তিনি।

তিনি বলেন, বাবা বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরাই এই মেগাপ্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে পারবেন, সেই যোগ্যতা তাদের আছে। আর পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা-এটা দেখে নিশ্চয়ই তিনি অনেক খুশি হতেন। দ্বিতীয়ত, প্রকৌশলী হিসেবে এটা উনার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি প্রজেক্ট ছিল। অনেকেই জানেন, এই প্রকল্পে অনেকগুলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বাধা ছিল। নদী শাসন, মাটির শক্তিমাত্রাসহ আরও অনেকগুলো বিষয়। বাংলাদেশের বড় বড় সব প্রকল্প বিদেশি অর্থায়নে হতো বলে সহযোগী দেশগুলোর অনেক শর্ত মেনে কাজ করতে হতো। পরামর্শদাতা হিসেবে বিদেশিদেরই নিয়োগ দেয়ার শর্ত থাকত। এ নিয়ে জামিলুর রেজা চৌধুরীর সবসময় ক্ষুব্ধ ছিলেন।

জামিলুরকন্যা বলেন, বিদেশি যাদেরকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতো, দেখা যেত কিছু ক্ষেত্রে তাদের কারিগরি দক্ষতাও আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে কম। কিন্তু অর্থের জন্য আমরা অন্যদের ওপর নির্ভর থাকতাম বলে কিছু করা যেত না। এই প্রকল্পটিতে শেষ পর্যন্ত জামিলুর রেজা চৌধুরীকে আর ক্ষুব্ধ থাকতে হয়নি। কারণ, বিশ্বব্যাংকের টালবাহানা শেষে সরকার পরে নিজ অর্থে সেতুর কাজ শুরু করে। তখন আর আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটির কোনো খবরদারি ছিল না।

বাবার সঙ্গে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখার স্মৃতিও স্মরণ করে কারিশমা ফারহীন চৌধুরী। বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বাবাসহ পদ্মা সেতু স্বচক্ষে দেখতে যাওয়ার। আমরা পুরো পরিবারের সবাই পদ্মা সেতুর অগ্রগতি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন মনে হয় ২৯ বা ৩০টির মতো স্প্যান বসেছিল। তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম তিনি কতটা গর্ববোধ করছেন। জামিলুর রেজা চৌধুরী সবসময়ই আশাবাদী ছিলেন। কারিশমা বলেন, বাবা সরকারকেও এটা বুঝাতে পেরেছিলেন আমাদের পক্ষেই এই সেতু তৈরি করে ফেলা সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন